লোভী যুবলীগ নেতার কাণ্ড !

প্রায় এক বছর শেকলবন্দি থাকার পর যুবলীগ নেতার বাসা থেকে ছোট ভাই অ্যাপোলোকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে বরগুনা পৌর শহরের আমতলারপাড় এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অ্যাপোলোর দাবি তার বড় ভাই জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাটম। সম্পত্তির লোভে তিনি তাকে পাগল সাজিয়ে বন্দি করে রেখেছে। বন্দি অবস্থায় তার উপর শারীরিক নির্যাতন করা হতো।

স্থানীয়রা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাশেমের দুই ছেলে অ্যাটম ও অ্যাপোলো। অ্যাটম পেশায় ঠিকাদার। তিনি বাবা-মাকে নিয়ে পৌর শহরের আমতলার পাড় এলাকায় হাইস্কুল সড়কে অ্যাটম কুটির নামের একটি বাড়িতে থাকেন। ওই শিক্ষকের আরো এক ছেলে অ্যাপোলো বাড়িতে থাকতো না, বাইরে থেকে পড়ালেখা করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

অ্যাপোলো জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অনার্স পড়া শেষ করে ব্যবসার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চান। কিন্তু বাবার সম্পত্তি থেকে ব্যবসার টাকা দিতে বাধা দেন বড় ভাই অ্যাটম। এরপর পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে পাগল সাজিয়ে বাড়ির ছোট্ট একটি রুমে শেকলবন্দি করে রাখা হয় তাকে।

অভিযুক্ত অ্যাটম এ কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘পরিবার থেকে অ্যাপোলোকে ব্যবসার টাকা দিতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু অ্যাপোলো পাগল তাই তাকে শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছে।’ তবে অ্যাপোলো যে পাগল, তার কোনো কাগজপত্র বা মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি তিনি।

বরগুনা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের দায়-দায়িত্ব তার পরিবারের। সে জন্য শেকলবন্দি থেকে মুক্ত করার পর অ্যাপোলোকে তার পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে। তবে সে মানুষিক রোগী হলে তার চিকিৎস্যার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবারের কেউ যাতে তাকে শেকলবন্দি না করতে পারে সে বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা হবে।’বাংলামেইল



মন্তব্য চালু নেই