শচিন আমাকে বলেছিল, ‘না শুধরালে ক্যারিয়ার শেষ করে দেব’

ঘটনাটা ১৯৯৭ সালের। ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে আজহারউদ্দিন দল থেকে বাদ পড়ার পরে শচিন টেন্ডুলকারের হাতে ক্যাপ্টেনসি তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অধিনায়কত্বেই ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল। সেইসময় দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নিয়েই অখুশি ছিলেন শচিন। তখনই তিনি সৌরভকে এমন হুমকি দেন। বার্বাডোজ টেস্ট চলাকালীন এই ঘটনার শচিনের থেকে এমন দুর্ব্যবহার পেয়েছিলেন মহারাজ। ওই ম্যাচে মাত্র ১২০ রানের টার্গেট পেয়েছিল ভারতীয় দল। কিন্তু, এই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করতে পারেনি শচিন ব্রিগেড। মাত্র ৮১ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ৩৮ রানে জয় পেয়েছিল। সৌরভ বললেন, এই ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে শচিন বেশ রেগেই ছিলেন। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের উপরেই নিজের রাগ উগড়ে দেন। তখন আমি নিজে শচিনের সঙ্গে কথা বলি। জানতে চাই, আমি কী করব? তখন ও আমাকে বলেছিল, কাল সকালে উঠে দৌঁড়াতে যাও। সৌরভ বললেন, পরেরদিন অত সকালে ঘুম থেকে আমি উঠতে পারিনি। ফলে দৌড়তেও যাওয়া হয়নি।

এই কথাটা যখন সচিনের কানে যায়, তখন তিনি রাগে ফেটে পড়ে। এরপর যা নয় তাই আমাকে বলে চলেন। অবশেষে বলে, আমি তোমাকে দেশে পাঠিয়ে দেব। যদি তুমি নিজের আচরণ ঠিক না কর, তাহলে ক্যারিয়ার শেষ করে দেব। এই কথা শুনে আমি এতটাই লজ্জিত হয়েছিলাম যে সেইদিন থেকেই আমার ক্যারিয়ার বদলে গেল। এরপর থেকে আমি দিনের পর দিন উন্নতির শিখরে উঠতে থাকি। তবে শচিন সৌরভের বন্ধুত্বটা ঠিক কোন জায়গায়, তা আজ আর বলে দিতে হবে না। সৌরভের অধিনায়ক হওয়ার পিছনেও শচিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর সেইকারণেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পর ভারতীয় দল পুরো ভেঙে পড়লেও, ২০০৩ সালে ফের ঘুরে দাঁড়ায়। বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।



মন্তব্য চালু নেই