শপথ অনুষ্ঠানে অন্যের ভাষণ মেরে ধরা খেলেন এই প্রেসিডেন্ট

ক্ষমতা গ্রহণ করতে না করতেই ঘানার নতুন প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-অ্যাডো সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিষেকের ভাষণে সাবেক দুই মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্ধৃতি মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

গত শনিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন নানা। রাজধানী আক্রার ইনডিপেনডেন্স স্কয়ারে এই শপথ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে আফ্রিকার বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানসহ হাজারো অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

নানা তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০ মিনিট ভাষণ দেন। বাহবাও কুড়ান। পরে তাঁর বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠে।

সমালোচকেরা বলছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাষণ থেকে বাক্য মেরে দিয়েছেন নানা।

কথিত চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ধরা পড়েনি। পরে এ নিয়ে যোগাযোগের সামাজিক মাধ্যম ও জাতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচকেরা তাঁদের অভিযোগের পক্ষে প্রমাণও উপস্থাপন করেন। তাঁরা বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও নানার ভাষণ পাশাপাশি তুলে ধরেন।

সমালোচকেরা বলছেন, ২০০১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাষণ থেকে হুবহু বাক্য নিয়েছেন নানা। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে অপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ভাষণ থেকেও বাক্য নিয়ে চালিয়ে দিয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ-বিষয়ক পরিচালক ইউজিন আরহিন এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, যা ঘটেছে তা একেবারেই অগোচরে এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে।

অভিষেক ভাষণে এমন ‘ভুল’ কীভাবে হলো, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রেসিডেন্ট নানার ঘনিষ্ঠ নেতারা।

গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউ প্যাট্রিয়টিক পার্টির নানা জয়ী হন। তিনি দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে পরাজিত করেন। ৭২ বছর বয়সী নানা একজন সাবেক মানবাধিকার আইনজীবী।



মন্তব্য চালু নেই