শফিক রেহমানের জীবনহানির আশঙ্কা স্ত্রীর

সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা পরিকল্পনায় আটক সাংবাদিক শফিক রেহমানের জীবনহানির আশঙ্কা করেছেন তার স্ত্রী তালেয়া রহমান। সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

এতে তিনি দাবি করেন শফিক রেহমানের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা। তাই রিমান্ড বাতিল ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য দেশবাসীর দোয়া ও প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তালেয়া রহমান।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘অভিযোগের বক্তব্য সত্য প্রমাণের জন্য শফিক রেহমানের মুখ দিয়ে তা বলাতে রিমান্ডের দ্বিতীয় দফায় তার উপর আরো অধিক অমানবিক নির্যাতন করা হবে না তো?’

তালেয়া রেহমান বলেন, ‘সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শফিক রেহমান সম্পর্কে যেভাবে একপেশে, অসত্য ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছেন তাতে আমি শঙ্কিত যে এ মামলার তদন্ত কাজ সঠিকভাবে এগোবে কি না এবং আমরা ন্যায় বিচার পাব কি না।’

তিনি বলেন, ‘শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুকে একের পর এক মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন, যা একদিকে শফিক রেহমানের মানহানি ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে মামলার তদন্ত কাজকে প্রভাবিত করছে বলে আমি মনে করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘যে মামলাটি এক বছরের অধিককাল আগে সংগঠিত হওয়ার স্থান আমেরিকার আদালতের রায়ে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, সে মামলার সূত্র ধরে শফিক রেহমানের মতো একজন প্রবীণ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের নামে নির্যাতন শুধু অমানবিকই নয়, অসভ্যতাও।’

তালেয়া রেহমান বলেন, ‘তার বিষয়ে ডিবি পুলিশের অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে কোনো সংবাদ ছাপার আগে তা ক্রস চেক করে নিজের বিবেকের সঙ্গে বোঝাপড়া করার অনুরোধ করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে শফিক রেহমানের স্ত্রী বলেন, ‘যে এক ফোঁটা রক্ত দেখলে ভয় পায় সে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকতে পারে না।’

তার বাসায় নথি পাওয়া প্রসঙ্গে তালেয়া রেহমান বলেন, ‘দেশের বিশিষ্ট একজন নাগরিক সম্পর্কে গুঞ্জন ছিল, সে সময় এ সমস্ত খবর পত্রিকায় বেরিয়েছে। এ গুঞ্জন শুনে সত্য উদঘাটনের জন্য শফিক রেহমান আমেরিকাতে গিয়েছেন।’

শফিত রেহমান গুঞ্জনে কান দেন না, তিনি অনুসন্ধান করে লেখেন বলেও জানান তিনি। তিনি অপহরণ হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত নন, এ অভিযোগ আমেরিকার আদালত বাতিল করে দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, জি৯-এর সদস্য ব্যারিস্টার সরোয়ার, আহাদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই