শফীর সঙ্গে প্রশাসনের দফায় দফায় বৈঠক

হেফাজতের ঘোষিত শুক্রবারের কর্মসূচি নিয়ে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।

সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারে হেফাজতে ইসলামের আল্টিমেটাম শুক্রবার শেষ হচ্ছে। হেফাজত বলছে জুমার নামাজের আগে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা না হলে সারাদেশে বাদ জুমা বিক্ষোভ করা হবে।

এর পর থেকে প্রশাসন চিন্তায় পড়ে যায়। পরে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।

হেফাজতে ইসলামের আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত দুদিনে পর পর দুই দফা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বুধবার বিকেল ৩টায় হেফাজত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এডিশনাল এসপি নাঈমুল হাসান, এএসপি রবীউল ইসলাম এবং হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইসমাঈল।

কর্মকর্তারা কুশল বিনিময় শেষে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ইস্যুতে মাঠ পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না দিতে হেফাজত আমিরকে অনুরোধ জানান। জবাবে তিনি অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তারের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এএসপি রবীউল ইসলাম এবং হাটহাজারী থানার ওসি মোহাম্মদ ইসমাঈল হেফাজত আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা শুক্রবারের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করতে হেফাজত আমিরকে অনুরোধ করেন। এসময় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক টেলিফোনে হেফাজত আমিরকে একই অনুরোধ করেন।

হেফাজত আমির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘একজন অপরাধীকে কোনো বিচার ছাড়া আপনারা কিভাবে ছেড়ে দিলেন?’

তিনি বলেন, ‘আত্মস্বীকৃত মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা ছাড়া উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা শান্ত হবে না। আমরা কোনো রাজনৈতিক দাবি করছি না। এটা ঈমান-আক্বিদা ও ইসলামের ইজ্জত-সম্মানের প্রশ্ন। এ বিষয়ে বর্তমানে পুরো জাতি একতাবদ্ধ।’

হেফাজত আমির শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই