মেয়র আরিফের বাসায় ফখরুল

শমসেরের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন ফখরুল

দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সিলেট সফরে গিয়ে শুক্রবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগে বিএনপির রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।”

এর আগে সকাল সাড়ে ১২টার দিকে বিমানযোগে সিলেট পৌঁছান মির্জা ফখরুল। কিন্তু বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কোনো কথা বলেননি।

স্ত্রীসহ একদিনের ব্যক্তিগত সফরে আসা মির্জা ফখরুল হযরত শাহজালাল ও শাহ পরান র. এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে হোটেল হলিসাইটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অসুস্থতার কথা বলে বুধবার রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। একইসঙ্গে বিএনপির সকল পদ থেকেও তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ফখরুল বলেন, “শমসের মবিন পদত্যাগ করেননি। তিনি অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে অবসরে গেছেন। তার চলে যাওয়ায় বিএনপির কোন ক্ষতি হবে না। কারণ বিএনপিতে অনেক পেশাদার কূটনীতিক আছেন।”

শমসের মবিনের পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “চেয়ারপারসনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে তার চিঠি দলের চেয়ারপার্সনের কাছে এখনও পৌঁছেনি।

বিএনপি ভাঙার গুঞ্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তা বাস্তব নয়,অমূলক।”

তিনি বলেন, বিএনপি একটি ঐক্যবদ্ধ এবং সুশৃংখল বৃহত্তর দল। এখানে ভাঙ্গনের কিছু নেই। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং আছে।

দুই বিদেশি হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির গুম খূনের রাজনীতিতে বিশ্বাষ করে না। এসব ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে এজন্য জাতীয় ঐক্য গঠন করা দরকার।”

তিনি বলেন, “তদন্তের আগেই বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এমন অভিযোগ বাস্তব নয়। বিএনপিকে হেয় করতে এসব বলা হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। গোটা জাতি বিদেশি হত্যার বিচার চায়।”

মেয়র আরিফের বাসায় ফখরুল

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখায়েস্তকৃত মেয়ার আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় গেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

হজরত শাহজালাল ও শাহপরাণের মাজার জিয়ারত শেষে শুক্রবার বিকেলে ফখরুল ছুটে যান নগরীর কুমারপাড়াস্থ আরিফের বাসবভনে। সেখানে গিয়ে তিনি আরিফের অসুস্থ মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।

এ তথ্য জানিয়েছেন আরিফের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত মাহবুবুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরী কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার মা অসুস্থ রয়েছেন। তাই উনাকে দেখতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম মেয়র সাহেবের বাসায় গেছেন। সেখানে গিয়ে মেয়রের মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মেয়র আরিফের খোঁজ খবর নিয়েছেন।’

এর আগে শুক্রবার দুপুরে একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দনে এসে পৌঁছান মির্জা ফখরুল। পরে হজরত শাহজালাল মাজারে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং মাজার জিয়ারত করেন। এরপর তিনি হজরত শাহজালাল মাজার জিয়ারত করেন। পরে নগরীর হলি সাইট হোটেলে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকেই তিনি মেয়র আরিফের বাসায় যান।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের গত ২১ ডিসেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র আরিফসহ ১১ জনের নাম যুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন।

পরে ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম রোকেয়া আক্তারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আরিফুল হক চৌধুরী। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আরিফকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তখন থেকেই কারাগারে আটক আরিফ।



মন্তব্য চালু নেই