শরীয়তপুরে বখাটের হামলায় চার ছাত্রীসহ আহত ৯

শরীয়তপুরের সদর উপজেলার বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীসহ নয় জেএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। আহত শিক্ষার্থীদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তুলাসার ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামে হামলার শিকার হন ওই শিক্ষার্থীরা।

আহত ছাত্রীরা জানিয়েছেন, ‘গ্রামের সৌদি প্রবাসী সালাম দেওয়ানের বখাটে ছেলে শামিম দেওয়ান তার পাঁচ সহযোগিকে নিয়ে এ হামলা চালায়।’

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- রহিমা আক্তার, সুরমা আক্তার, মীম আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌসি, কাওসার মাহমুদ, জসিম, সজিব সরদার, সাইফুল ও মাসুদ সরদার।

শরীয়তপুর সদর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শরীয়তপুর পৌরসভায় অবস্থিত আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসির বাড়ি একই উপজেলার দড়িহাওলা গ্রামে। গত এক সপ্তহ ধরে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পথে পাশের গ্রামের শামিম দেওয়ান তাকে উত্যক্ত করতো। বৃহস্পতিবার শারীরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দেওয়ান কান্দি এলাকায় শিক্ষার্থীদের বহনকারি ইজিবাইক থামায় বখাটে শামিম। এরপর সে জান্নাতুলের কাছে মোবাইল নম্বর চায়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে শামিম তার পাঁচ সহযোগিকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে নয় ছাত্রী আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত জান্নাতুল ফেরদৌসি জানায়, ‘পরীক্ষা দিতে আসার পথে শামিম আমাকে বিরক্ত করত। ইজিবাইক থামিয়ে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করত, ফোন নম্বর চাইতো। তার ভয়ে আমি পরীক্ষা শেষে অন্য সহপাঠিদের সঙ্গে বাড়ি ফিরতাম। বৃহস্পতিবার সে আমাদের ইজিবাইক থামালে আমার সহপাঠিরা এর প্রতিবাদ করে। তখন শামিম তার পাঁচ সহযোগিকে নিয়ে আমাদের বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পেটায়।’

শরীয়তপুরের সদর উপজেলার বিনোদপুর পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা থানায় মামলা দায়ের করবো। বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীদের শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে, সুস্থ হতে দুই তিন দিন সময় লাগতে পারে।’

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’



মন্তব্য চালু নেই