শহীদ বেদীতে জুতা পায়ে ছাত্রলীগ!

সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদীতে লাইন ধরে বসেছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আর যে বেদীতে জুতা পায়ে উঠা নিষেধ, সেই বেদীতেই জুতা নিয়ে হাঁটছিলেন তাঁরা। তাছাড়া বেদীতে থরে থরে সাজানো ছিল তাদের পায়ের জুতা। বিষয়টি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারার অনেককেই ব্যথিত করে। ব্যাপারটি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকেও বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।

শনিবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজন করা হয় সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। আর এ সম্মেলনকে সামনে রেখে শহীদ মিনারে উপস্থিত হন মহানগর ছাত্রলীগের হাজারো নেতাকর্মী। পদপ্রত্যাশীদের শোডাউন আর শো-অফ করার অনেক কিছুই ছিল সেখানে। সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীদের জন্য বাঁশের বেড়ার ব্যবস্থা করা হয়। আর মোটামুটি পদপ্রত্যাশী, পদাধিকারী নেতারাই ভিড় করেন শহীদ বেদীতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলন শুরুর অনেক আগে থেকেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যে যার পছন্দ মতো স্থান দখলের প্রতিযোগিতা চলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। যদিও এ দখল প্রক্রিয়ায় কোনো অবাঞ্চিত ঘটনার জন্ম নেয়নি। তবে মূল মঞ্চে যাদের স্থান নেই, আবার সাধারণ কর্মীদের সাথে বাঁশের বেড়ার বাইরে অবস্থান নিতেও সমস্যা, তারাই মূলত ভিড় করেন শহীদ মিনার পাদদেশে। আর তাদের বেশিরভাগই পায়ে জুতা নিয়েই অবস্থান করেন। অবশ্য সৌজন্যতাবশত কয়েকজন তাদের জুতা খুলে রাখেন শহীদ মিনারের বেদীরই একপাশে।

ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা অনেককে জুতা নিয়ে বেদীতে না উঠতে নির্দেশ দেন। তবুও তাদের এই নির্দেশ মানেননি প্রায় কেউই। এদের মধ্যে বেশিরভাগ জানেনই না যে জুতা নিয়ে বেদীতে উঠা নিষেধ।

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। মহানগর ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি রাহাত তরফদারের সভাপতিত্বে ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসানের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাহাদুর বেপারী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। তবে এ সম্মেলনে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি।



মন্তব্য চালু নেই