শান্তির ধারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই

সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তির ধারা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ শান্তির ধারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিত নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তি ও উন্নয়নের ধারা। দেশের অখণ্ডতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে একটি মহান পদক্ষেপ হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির জন্য ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। খুন, রাহাজানি, অত্যাচার-অবিচার, ভূমি জবরদখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বিবাদমান সব পক্ষের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা করি। সবাইকে শান্তির পথে ফিরিয়ে আনি। শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। সরকার পার্বত্য চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ গঠন করে।’

‘আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাসমূহ কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই