শামীম ওসমানকে সতর্ক বার্তা দিল ইসি

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। দলীয় কার্যালয়ের বদলে সার্কিট হাউজে বর্ধিত সভা ডেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় এমপি শামীম ওসমানকে সর্তক করে চিঠি দিতে বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।

বৃহস্পতিবার নির্বচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, আমাদের কাছে সব দল সমান। নির্বাচন কমিশন তফসিল দেয়ার পর সরকারি আফিসে সভা করা অবৈধ-এটা আইনে বলা আছে। কিন্তু তারা দলীয় অফিস বাদ দিয়ে সার্কিট হাউজে বর্ধিত সভা করেছে, তাই তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় হয়। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন জন প্রার্থীর নাম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে প্রস্তাবিত ওই তালিকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়ৎ আইভীর নাম ছিল না। এতে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহাসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৬ ও ২৭ নভেম্বর বাছাই হবে এবং ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ২২ ডিসেম্বর। সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর নারায়ণগঞ্জে এটি দ্বিতীয় ভোট। তবে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে এবারই প্রথম। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই নেতা সেলিনা হায়াৎ আইভী ও এ কে এম শামীম ওসমান প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচনে আইভী বিজয়ী হন।

এক নজরে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন:

একজন মেয়রের সঙ্গে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮ জন। ভোটার বেড়েছে প্রায় পৌনে এক লাখ। সম্ভাব্যস ভোটকেন্দ্র ১৬৩টি ও ভোটকক্ষ ১২১৭টি।

নির্বাচনে ১৬৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১২১৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৪৩৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সমর্থন না পেয়েও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছিলেন আইভী। তিনি পেয়েছিলেন এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট, শামীম ওসমান তার অর্ধেক ভোটও পাননি। তার বাক্সে পড়েছিল ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট। দুই জনের মধ্যে ব্যবধান ছিল এক লাখেরও বেশি।



মন্তব্য চালু নেই