শারদীয় দূর্গোৎসব: দেবীর অপেক্ষায় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা

ভোলা প্রতিনিধি: সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব । দেবী দূর্গা, দুর্গতি নাশিনী। অশুভ শক্তির বিনাশ করতেই তিনি আসেন ধরণীতে।তার আগমনের অপেক্ষায় হিন্দু সম্প্রদায়।চলছে মন্দিরে মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি। ভোলার পূজা মন্দির ও মন্ডপগুলোও সাজানো হচ্ছে নানা রঙে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিল্পীরা। কারিগররা তুলির শেষ আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন মা দূর্গাকে। শিল্পীরা তাদের সর্বমেধা দিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

পুরাণ মতে-রাজা সুরথ প্রথম দেবী দূর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি এ পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হতো। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শ্রী রাম চন্দ্র দূর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এ পূজাকে হিন্দু মতে অকালবোধনও বলা হয়। এই অকালবোধনে শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে ব্যস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। আগামী ৭ অক্টোবর শুক্রবার বোধনের মধ্য দিয়ে এ পূজা শুরু হবে ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোরাঙ্গ চন্দ্র দে জানান, ভোলায় বিভিন্ন মন্ডপের প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। রংতুলির কাজ শুরু হয়েছে। এবারে ভোলা জেলা ৯৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।এদিকে প্রতিমা শিল্পীদেরও যেন দম ফেলার সময় নেই। প্রতিমা শিল্পীরা জানান, প্রতিমা গড়া শেষ হলে রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে অবয়ব। ফুটিয়ে তোলা হবে নাক-চোখ-মুখ।

এদিকে বিভিন্ন মন্ডপের আয়োজকরা বলেন, মন্ডপের সাজ সজ্জায়ও থাকছে নানা চমক। পাশাপাশি সম্পন্ন হবে আলোকসজ্জা ও পূজার অন্যান্য আয়োজন। বেশ কিছু মন্দির ঘুরে দেখা গেছে কোন কোন মন্ডপে প্রতিমায় রংয়ের কাজ প্রায় শেষ। পূজামন্ডপগুলোর সাজসজ্জার কাজও চলছে পুরোদমে।শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উৎযাপনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।দেবী দুর্গার আগমনে বিশ্ব জুড়ে বইবে সুখ সমৃদ্ধি এ প্রত্যাশা সবার।



মন্তব্য চালু নেই