শারীরিক সম্পর্কের পর ও বলে আমাকে আর দরকার নেই…

আমি একজনকে খুব ভালোবাসি। সেও আমাকে ভালোবাসতো। আমাদের সম্পর্ক পাঁচ বছর হয়েছে। সে এখন খুব বদলে গেছে। আমাকে আগের মতো সময় দেয় না, কথা বলে না। সবসময় আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এই পাঁচ বছরে ও আমার আড়ালে চার-পাঁচটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে। আমি তখন কিছু বুঝি নি। পরে আমি বুঝি যে ও আমাকে ঠকায়। তারপর আমার কাছে মাফ চায়। আর কখনো করবো না বলে। এভাবে অনেকবার আমি মাফ করি।

আমি সম্পর্কটা রাখবো না বলেছি, কিন্তু ও খুব কান্না করে তাই আমি ওর কথা রাখি। কিন্ত আবার সেই আগের মতো শুরু করে। মাঝে একটি মেয়েকে নিয়ে খুব সমস্যা হয় আমাদের। ও ফ়েসবুক একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে। আমি বাঁধা দিই। এরপর বলছে- ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে না এবং বলবে না। কিন্ত আমার মনে হয় এখনও কথা বলে। আমকে এখন খুব গালি দেয়, বকা দেয়। সিম্পল ব্যাপারে রেগে যায়। আমদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।

ও এখন বলে আমকে আর ওর দরকার নেই। নতুন কারো সঙ্গে সম্পর্ক করবে। তাঁকে বিয়ে করবে, আমকে না। আবার বলে- বিয়ে করলে আমকেই করবে। কিন্তু আমাকে এখন আগের মতো কল, মেসেজ কিংবা সময় দেয় না। আমি দিলে বকা দেয়। মোবইল বন্ধ করে রাখে। অন্যদিকে আমার বাবা-মা সবাই আমাকে বিয়ে দিতে চায়। আমি কখনো রাজি হই, আবার কখনো মানা করে দিই। আমি ওকে খুব ভালবাসি, তাই কাউকে মানতে পারি না। একদিকে বাবা-মা অন্যদিকে আমার প্রেমিক। আমি কী করবো বুঝি না। আমার এখন কী করা উচিৎ? ওকে আমি পেলেও কি সুখী হবো? প্লীজ় আমাকে সমাধান দিন।

পরামর্শঃ
দেখুন আপু, আমার মনে হয় আপনি বিশাল বড় ভুল করছেন। কেননা আপনার চিঠি পড়ে যে কেউই বুঝবে যে ছেলেটি আপনাকে ভালবাসে না। বরং সে কেবল শরীরের আনন্দ পাওয়ার জন্য আপনাকে ইউজ করছে। সে কখনোই আপনাকে বিয়ে করবে না। আর ভুল করে যদি করেও ফেলে, আপনি আজীবন নির্যাতিত হবেন এই ছেলেটির কাছে।

নিজের জীবন বাঁচান আপু, এই ছেলেটির কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনুন। পিতা মাতার ইচ্ছাকেই মেনে নিতে পারেন। কারণ নিজের ইচ্ছায় অলরেডি অনেক গুলো ভুল তো হয়েই গিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই