শাহজালালে ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড

‘আসেন আসেন, ডলার ডলার, হাইরেট পাইবেন’—এমন হাঁক-ডাক শুনে মনে হতে পারে ফুটপাতে কোনো হকার ক্রেতাদের এভাবে আকৃষ্ট করছেন! কিন্তু এটা কোনো ফুটপাতের দৃশ্য বা হকারের হাঁক-ডাক নয়। এটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্য। আর এভাবেই ডলার বিক্রি করছিলেন জনতা ব্যাংক বিমানবন্দর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার আরিফ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে এভাবেই যাত্রীদের হয়রানি করছিলেন আরিফ চৌধুরী। পরে বিমানবন্দরের মতো একটি ‘স্পর্শকাতর স্থানে’ এভাবে ডলার বিক্রি ও যাত্রীদের হয়রানি করার অপরাধে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। নিয়ম-নীতি না মেনে একজন সরকারি কর্মকর্তা বিমানবন্দরের এভাবে ডলার বিক্রি করতে পারেন না। বেআইনিভাবে ডলার বিক্রি ও যাত্রীদের হয়রানি করার অপরাধে তাকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের সুবিধার জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রয়েছে একাধিক মানি এক্সচেঞ্জ বুথ। যাত্রী ঠকানো, রশিদ না দিয়ে মুদ্রা বিনিময়, যাত্রীদের ডাকাডাকি করে হয়রানি না করার জন্য ব্যাংক ও প্রাইভেট মানি এক্সচেঞ্জকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া একাধিকবার জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে অনেক কর্মকর্তাকে।



মন্তব্য চালু নেই