শাহাদাত দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার কাজী শাহাদাত হোসেন এবং তার স্ত্রী জেসমিন জাহান ওরফে নিত্য শাহাদাতের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ঈসমাইল এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। বিচারক আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

অভিযোগপত্র গ্রহণকালে আদালতে হাজির ছিলেন শাহাদাত দম্পতি। এদিন শাহাদাতের স্ত্রী নিত্য শাহাদাতের জামিন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন আদালত। অন্যদিকে শাহাদাত উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনে রয়েছেন।

গত ১২ জানুয়ারি মামলাটি ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪ (২) খ ধারায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

উক্ত মামলায় শাহাদাত এবং নিত্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ এবং সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

মামলাটিতে গত বছরের ৪ অক্টোবর নিত্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। আর ৫ অক্টোবর শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তারও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। এরপর ৮ অক্টোবর শাহাদাতকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ নিত্যর এবং গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করলে তারা কারামুক্ত হন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিরপুরের ২ নম্বর সেকশনের এইচ ব্লকের ৫ নম্বর রোডে শাহাদাতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো মাহফুজা আক্তার হ্যাপি (১১)। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির ৩ নম্বর রোডের মাথায় হ্যাপিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মিরাজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। পরে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে শিশুটিকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর হ্যাপি আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি প্রদান করেন।



মন্তব্য চালু নেই