শিক্ষকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনে

তৃতীয় দিনের মতো চলছে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি। বুধবার সকাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষক নেতারা। বৈঠক শেষে শিক্ষক নেতারা জানান, সমস্যার সমাধান হয়নি। কর্মবিরতি চলবে।

তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় সংকট সমাধানের পথে এক ধাপ এগিয়েছি।’

সোমবার ১১ জানুয়ারি সকাল থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অষ্টম পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবনমনের প্রতিকার ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ক্লাস বন্ধ রয়েছে, সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল বাদে মিডটার্ম পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল শ্রেণি পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তৃতীয় দিনের মতো বুধবার সকাল থেকেই আমাদের কর্মবিরতি পালন চলছে।’

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ বলেন, ‘আমাদের সমস্যার কথা মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী আবারো জানতে চেয়েছিলেন। আমরা আগে বারবার বলে আসা সব সমস্যার কথা আবারও বলেছি। তিনি বলেছেন, দেখি কী করা যায়। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’

গত ২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের মুজাফফর আহম্মেদ চৌধুরী মিলানায়তন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই কর্মরিততিতে যাওয়ার আগে আরো দুই দিন কর্মসূচি পালন করা হয়। ৩ জানুয়ারি একই দাবিতে শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন। ৭ জানুয়ারি স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এরপর ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন।

৭ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষক নেতারা বলেছিলেন, ক্লাস বন্ধ থাকলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

এ ছাড়া ১১ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালনের প্রথম দিনে শিক্ষক নেতারা বলেছেন, সেশনজটে পড়লেও তার জন্য দায়ী হবেন অর্থমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই