শিক্ষকের পিটুনিতে আহত মাদ্রাসা ছাত্র

অন্ধকারে বাথরুম তিন-চার ঘণ্টা আটকে থাকার পর দরজার ছিটকানি ভেঙে বের হয় মাদ্রাসা ছাত্র পারভেজ (৯)। আর দরজার সেই ছিটকানি ভাঙার অপরাধে তাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে সেই মাদ্রাসারই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় সোমবার রাত ৯টার দিকে পারভেজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।

ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এর ৭ নম্বর রোডের আল-আমিন হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায়। মারপিটের কারণ সম্পর্কে পারভেজ জানায়, রবিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সে বাথরুমে ঢুকে। তখন কে বা কারা বাইরে থেকে বাথারুমের আলো নিভিয়ে দেয়। পরে সে তিন থেকে চার ঘণ্টা দরজায় খুলার চেষ্টার করলেও কেউ আসেনি। এক পর্যায়ে দরজার ছিটকানি ভেঙে যায়। শব্দ পেয়ে ছিটকানি ভাঙার অপরাধে জামাল হুজুর নামের শিক্ষক এসে তাকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এরপর সারারাত মাদ্রাসায়ই তাকে রাখা হয়।

সোমবার সকালে পারভেজ মহানগর প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোডে নিজ বাসায় গিয়ে তার বাবাকে মারপিটের কথা জানায় এবং গায়ের আঘাতের চিহ্ণ দেখায়। সোমবার বিকাল ৩টার দিকে পারভেজকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা এ বিষয়ে রামপুরা থানায় অভিযোগ দেয়। থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন জানিয়ে তাকে আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলে।

পরে রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে ওই শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



মন্তব্য চালু নেই