শিক্ষক রেজাউল হত্যায় অংশ নেয় নিহত জঙ্গি বাঁধন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া একজন গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গি খায়রুল ইসলাম বাঁধন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর দুই জনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বাঁধন, খালিদ, বাইক এবং সাকিব সরাসরি এই হত্যা মিশনে অংশ নেয়। এছাড়া আরো কয়েকজন ছিল যারা এই হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করে।

গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলায় জড়িত জেএমবি জঙ্গি খায়রুল ইসলাম বাঁধন ছিল শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অন্যতম। তার বাড়ি বগুড়াতে। শাহাজাদপুর উপজেলার বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। এক বছর আগে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।

অপর দুই জড়িত রাজশাহীর বাগমারার শরিফুল ইসলাম খালিদ এবং পঞ্চগড়ের নজরুল ইসলাম বাইককে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। অভিযুক্ত মাসকাওয়াথ হাসান সাকিব রয়েছে জেল হাজতে।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর রেজাউস সাদিক জানান, প্রফেসর রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খায়রুল ইসলাম বাঁধন গুলশানে নিহত হয়েছে। অপর দুই আসামিকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। আর এক আসামি রয়েছে জেল হাজতে। তবে তদন্তের স্বার্থে এর বেশিকিছু বলা যাচ্ছে না। খুব তাড়াতাড়ি চার্জশিট দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৭ মে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রফেসর রেজাউল করিম সিদ্দিকী। হত্যাকাণ্ডের পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনে নামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং পুলিশের আইজিপির আশ্বাসে লাগাতার অন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।

নিহত রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্ত্রী হোসনে আরা জানান, হত্যার পেছনে যারা বিশেষত যার মাথা থেকে এই হত্যার পরিকল্পনা উঠে আসে তাকে বিচারের কাঠগরায় আনা একান্ত জরুরি বলে মনে করেন তিনি। তার কথায় এ হত্যাকাণ্ডের পরে পুলিশ প্রথম অবস্থায় তৎপর ছিল। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার চার্জশিট দেয়া হয়নি। পুলিশ জানাচ্ছে তদন্ত চলছে।



মন্তব্য চালু নেই