শিক্ষক লাঞ্ছিত হবার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ফারুকি

শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয় নিয়ে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশের বিনোদন জগতের অতি পরিচিত মুখ মোস্তফা সরোয়ার ফারুকি। তিনি তার বক্তব্যে কোথাও কোন পক্ষ নিয়ে কথা বলেন নি। তবে বাংলাদেশের মিডিয়ার ভুলগুলো তুলে ধরেছেন।

তার দেয়া স্ট্যাটাস পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবহু তুলে ধরা হল-

কথা বলিবো কোন কান লইয়া? ফেসবুক নিউজ ফিডে ভাসছে শিক্ষকের কান, হেফাজতি কান, সৌখিন কান, কোথাও দেখলাম ড্রাইভারের কান। এই গোলক ধাঁধায় শ্যামল ভক্ত স্যারের অপমানের বিচার দুরে থাক, চাকরীটাই গেলো।

ঐদিকে বাংলাদেশী মিডিয়া ফোলানো-ফাপানো-অর্ধসত্য-অসত্য প্রোপাগান্ডা দিয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবের কান টানিয়া প্রায় গোড়ালিতে নামাইয়া ফেলিলো বলিয়া। এই গোলক ধাঁধায় হারাইয়া গেলো বিজন ইমতিয়াজ নামে এক তরুণের বানানো ছবি “মাটির প্রজার দেশে”! সিয়াটলের মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে নির্বাচিত হওয়ার খবরটা (উদাহরণস্বরুপ) প্রথম আলোর পাতায় এক ইঞ্চিও জায়গা পাইলো না। অথচ “কানের মিথ বা বায়বীয় প্রোপাগান্ডা’ ব্যাক পেজে জায়গা করিয়া লয়। ইহাতে সমাজে ভুল স্ট্যান্ডার্ড সেট করা হয়।

মুস্তাফিজ আর সাকিব যখন পারফর্ম করিবে তখন আপনি পারফর্ম করিতেছে না এমন কাউকে লইয়া লাফাইলে পাইপলাইনে থাকা তরুন খেলোয়াড়টির সামনে ভুল স্ট্যান্ডার্ড সেট করিয়া দিলেন। এখানে পরিষ্কার করা দরকার কানের মার্কেটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ভালো সিদ্ধান্ত । ছবি বেচা হউক বা না হউক বেচা-কেনার এই বাজারে আমাদের হাজিরা থাকা দরকার । এবং সেটা সামনে আরো বাড়ানো দরকার । তবে সেটাকে কান উৎসবের মর্যাদা দিয়া বসিলে দুই বছর পর ঐ পরিচালক বা প্রযোজকের ছবি সত্য সত্যই কান উৎসবে নির্বাচিত হইলে তখন তাহার জন্য আর কি নতুন মর্যাদা বরাদ্দ করিবেন? কান মার্কেটে ছবি দেখাইতে কোন বিশেষ যোগ্যতা লাগে না এটা সবাই জানেন আশা করি, একটা নির্দিষ্ট ফি দিয়া যে কেহই তাহার ছবি মার্কেটে দেখাইতে পারেন। কিন্ত ভ্রাতা এবং ভগিনী উহা কান উৎসবে নির্বাচিত ছবি নহে। নাককে কান বলিয়া ভ্রম করিলে চলিবে না।

অনন্ত জলিল সাহেবও তাহার ছবি কান মার্কেটে দেখাইয়াছেন। কিন্ত যে তরুন ভালো একটা ফেস্টিভালে সিলেকশন পায় তাহাকে কষ্ট করিয়া ছবিটা ভালো বানাইতে হয়। সে আপনার পত্রিকায় মার্কেট স্ক্রিনিংয়ের কোনো খবরের চাইতে বেটার ট্রিটমেন্ট ডিজার্ভ করে। মিডিয়ার নীতি নির্ধারক ভাই বোনেরা ভাবিবেন কি?

যদি আরেকটু যোগ করি আমাদের মিডিয়ার ডিসপ্রপোরশনেট ট্রিটমেন্ট নিয়া। ওং কার ওয়াই, আসগর ফরহাদিদের সাথে কমপিট করে আপসা গ্রান্ড জুরি প্রাইজ জিতে আমার ছবি টেলিভিশন পাইলো দুই কলাম তিন ইঞ্চি রিপোর্ট । আর সেই টেলিভিশন ছবিই কোলকাতা উৎসবে জিতে পাইলো তিন দিন লিড ট্রিটমেন্ট । লে হালুয়া।



মন্তব্য চালু নেই