শিক্ষামন্ত্রীর ওপর গোসসা গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের!

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দিনে, প্রায় একই সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আরেকটি বই উৎসবের ঘোষণা দেয়ায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ওপর ‘গোসসা’ হয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা মনে করছেন, একই দিনে দুই মন্ত্রণালয়ের দুটি উৎসব হওয়ায় মিডিয়ায় অবহেলিত হতে পারে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উৎসবটি অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রীর উৎসবটি মিডিয়া কাভারেজ বেশি পেতে পারে।

বছরের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঘোষণা দিয়েছিলেন বই উৎসব হবে ২ জানুয়ারি। অর্থাৎ বছরের প্রথম কর্মদিবসে। একইসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছিল তারা পুরানো রীতি মেনে বছরের প্রথম দিনেই (শুক্রবার) বই উৎসব পালন করবে। তখন ছুটির দিনকে ঘিরে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উৎসবের ঘোষণায় নানা সমালোচনা হয়। এরপরও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তার অবস্থানে অটল ছিল।

কিন্তু হঠাৎ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তার মন্ত্রণালয়ের বই উৎসব ২ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ জানুয়ারি করার ঘোষণা দেয়। এতে অসন্তোষ দেখা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে।

এ ব্যাপারে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন শিক্ষামন্ত্রী শুক্রবার কীভাবে বই উৎসব করবেন? এখন কেন কেউ কিছু বলছেন না? শিক্ষামন্ত্রী বলেই কি সব জায়েজ?’

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, উৎসব দুটি না করে একটি করা যেতো। একসঙ্গে সবাই মিলে উৎসব করলে উৎসবের আনন্দ যেমন বাড়তো তেমনি একটি বড় অর্জনে সবারি একইসঙ্গে সামিল হওয়ার সুযোগ থাকতো। কিন্তু এখন দুটি অনুষ্ঠান দুই জায়গায় হওয়াতে আনন্দে ভাটা পড়তে পারে।

অনেকে বলছেন, একই দিনে একই সময়ে ভিন্ন দুটি জায়গায় একই ধরণের উৎসব হওয়াটা উচিৎ নয়। শিক্ষামন্ত্রী ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হওয়ায় মিডিয়া কাভারেজসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, বিশৃংখলা তৈরি করার জন্যই এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি দুই মন্ত্রণালয় যৌথভাবে একটি উৎসবের আয়োজন করতো তাহলে উৎসবের আমেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সম্পর্ক ও সৌহার্দ্য আরো বৃদ্ধি পেতো।

প্রসঙ্গত ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে বই উৎসব উদযাপন করে আসছে। গত ৫ বছর উৎসবটি ছুটির দিনে পড়েনি। তবে এবারের ১ জানুয়ারি ছুটির দিন হওয়ায় উৎসব আয়োজন নিয়ে দ্বিধা থাকলেও দুই মন্ত্রণালয়ই বছরের প্রথম দিনকে অর্থাৎ ১ জানুয়ারিতেই উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই