শিগগিই বিয়ের পিড়িঁতে বসতেছেন পরীমণি

ভালোবাসার প্রতিককে অক্ষুণ রেখে এবারের ভ্যালেন্টাইন্স দে-তে নতুন পথচলা শুরু করছেন এ সময়ের আলোচিত ও লোকমুখে একনামে পরিচিত-পরীমণি। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখেই প্রেমকে স্মরণীয় করে গিয়ে বাগদান সেরে নিলেন পরীমণি।

ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরেই বাগদান করে সারাজীবনের নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হলেন পরীমণি। অনেকটা হঠাৎ করেই বিনা সাজগোজ ও নেমন্তন ছাড়াই বাগদান ঘটে গেল এই নতুন জুটির। চাঁদপুরে পরীমণি, গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য অবস্থানরত ছিলেন এবং সেখানেই ঘটল বাগদানের এই ঘটনা।

হঠাৎ শুটিং-এর মাঝে বাগদানের ব্যাপার নিয়ে পরীমণি জানান, ‘আমি নিজেও বুঝতে পারিনি কি করে কি হয়ে গেল। ভালোবাসা আসলেই এক আজব জিনিস। এতদিন পর্দায় বুঝেছি। এবার বাস্তবে অনুধাবন করলাম। সারলাম বাগদান।’

তাড়াহুড়া করে কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই বাগদান সেরে ফেললেন কেন এমন কথার প্রেক্ষিতে পরীমণি বলেন, ‘ভাই রে, ঐ যে বললাম এটা এক আজব জিনিস । মন থেকে সাড়া পেলাম, তাই হয়ে গেলো। তাছাড়া ভালোবাসা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতেই এ সিদ্ধান্ত।’

পাত্রের ব্যাপারে মুখ খোলেননি জনপ্রিয় এই তারকা। কিছুটা স্মিত হেসেই পরীমণি বলেন, ‘এ বিষয়টা না হয় একটু রহস্যেই থেকে যাক। শিগগির ঘটা করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। নিমন্ত্রণে এসে জেনে নিবেন। দেখে নিবেন আমার হবু বরকে। তবে এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, পাত্র মিডিয়ার কেউ নন। সে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রায় চার মাস যাবৎ তার সাথে পরিচয়। ইতিমধ্যে আমরা একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করেছি। দেখিয়েছি প্যাশন। ব্যাটে বলে মিলে যাওয়াতে বাগদানটা হয়ে গেলো।’

অনেকটা খুশি ও অবাক পরীমণি পুরো ঘটনাটিকে একরকম সারপ্রাইজ হিসেবেই নিয়েছেন। আরো জানান, ‘শনিবার রাতে হঠাৎ চাঁদপুরে এসে উপস্থিত হয় আমার হবু বর। ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে আমার অনামিকায় আংটি আর গলায় নেকলেস জড়িয়ে দেয়। আমিও তার অনামিকায় বাগদানের চিহ্ন একে দেই। অর্থাৎ পরিয়ে দেই আংটি । বন্ধু বান্ধব ও শুটিং স্পটের সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটল। আমাদের ভালোবাসা ইতিহাস হয়ে রইবে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’



মন্তব্য চালু নেই