শিগগিরই চালু হচ্ছে ‘ডট বাংলা’ ডোমেইন

ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নম্বরস (আইসিএএনএন) বা আইক্যান কর্তৃক গত বুধবার ‘ডট বাংলা’ ডোমেইন অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ। অনুমোদনের পর এখন শিগগিরই চালু হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পরিচিতি। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সদ্য অনুমোদন পাওয়া এই ডোমেইন চালু উদ্যোগ নিচ্ছে। সংস্থার একটি বিশেষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, আইক্যানের তালিকায় বাংলা ভাষায় লেখা ডোমেইন হিসেবে ডট বাংলা হচ্ছে দ্বিতীয়। ‘ডট ভারত’ নামে আরেকটি বাংলায় লেখা ডোমেইন ওই তালিকায় আগেই স্থান পেয়েছে। ‘ডট ভারত’ ডোমেইনটির স্পন্সরিং অরগানাইজেশন হচ্ছে দিল্লির ন্যাশনাল ইন্টারনেট একচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া। এছাড়া ভারতে হিন্দি, উর্দু, তেলেগু, গুজরাটি, পাঞ্জাবি ও তামিল ভাষায়ও ডোমেইন রয়েছে।

‘ডট ভারত’ ডোমেইনটি নিবন্ধন করা হয় ২০১১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আইক্যানের কাছে আবেদনের পর ২০১১ সালে ‘ডট বাংলা’ ডোমেইনটির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এবং পরের বছর আইএএনএর অনুমোদন পায়। ভারত এবং বাংলায় দ্বিতীয় মাতৃভাষার দেশ সিয়েরা লিওনও বাংলাদেশের পাশাপাশি এ ডোমেইনটির অধিকার পেতে আবেদন করেছিল। তবে সব দিক বিবেচনা শেষে আইক্যান ডোমেইনটি বাংলাদেশকেই বরাদ্দ দেয়।

এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ বলেন, এটি আমাদের অনেক বড় অর্জন। নতুন ডোমেইন চালুর সম্ভাব্য কারিগারি বিষয়াদি আগেই এগিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে অনুমোদনের পরপরেই এ সংক্রান্ত সেবা দ্রুত চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, ডোমেইনের নিবন্ধন ফি এবং প্রক্রিয়া কি হবে সেসব বিষয়ে আগামী রোব বা সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ‘ডট বাংলা’ ডোমেইন চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর নানা নাটকীয়তা শেষে বুধবার (৫ অক্টোবর) নতুন এ ডোমেইনটির অনুমোদন পায় বাংলাদেশ।

এর আগে ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ডোমেইন চালু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিষয়টি নিয়ে কারিগরি কাজ শুরু করে বিটিআরসি। পরবর্তীতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়।

দেশের নামে ডোমেইন ‘ডটকম ডটবিডি’-এর নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বিটিসিএল। ২০১১ সালে ‘ডট বাংলা’ ডোমেইন বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান নিযুক্ত করতে না পারায় দীর্ঘ সময়েও এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের জুন মাসে আবারো ডোমেইনটি কার্যকর করতে উদ্যোগ নেয় সরকার। ডোমেইনটি সম্পর্কে তখনকর অবস্থা জানতে আইসিএএনএন’কে চিঠির জবাবে বলা হয়েছিল, ডোমেইনটি বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। ‘ডট বাংলা’ ডোমেইনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সংগ্রহ, সার্ভার স্থাপন এবং অন্যান্য কারিগরি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এছাড়া ডোমেইন বিক্রির জন্য নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছিল বিটিসিএল।



মন্তব্য চালু নেই