শিবির নেতা-কর্মীদের শিক্ষক হিসেবে চান না উপাচার্যরা

জঙ্গিবাদ দমনে শিক্ষকদেরকে দলাদলি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদেরকে ‘আদর্শ’ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার আহ্বানও তাদের। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষকদের মধ্যে যারা উগ্রপন্থা ছড়াচ্ছেন তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোঁরা আর শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতারা বক্তৃতা করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘ ১৯৭৫ সালের পর রাজশাহী ও চট্টগ্রাম এই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপরিকল্পিতভাবে বেছে নেয়া হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসের চাষ হয়েছে। এখানে শিক্ষকরাও এর পেছনে যুক্ত ছিলেন’।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন,’ আপনারা শিবির নিয়োগ দিবেন না। দুঃখজনকভাবে মন্ত্রীদের পরামর্শে, ক্ষমতাসীনদের সুপারিশে তারা নিয়োগ পায়। এটা বন্ধ করা গেলে মন্ত্রে-তন্ত্রে দীক্ষিত করে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীদের কেউ বিপথে নিতে পারবে না’।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় যে উগ্রপন্থা ছড়াচ্ছে তা আগে থেকেই পর্যবেক্ষণ করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিপথগামী শিক্ষকদের সতর্ক করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরপর দু’টি ঘটনার পর সারা দেশেই গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ গোয়েন্দারা কাজ করছে, তারপরও আমার মনে হয় জঙ্গিবাদ ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন এজন্য শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে’।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে মন্ত্রণালয় বৈঠক করবে রোববার।

আর ফাজিল এবং আলিম পর্যায়ের শিক্ষকদের নিয়ে একইরকম বৈঠক হবে আগামী ২৭ জুলাই।



মন্তব্য চালু নেই