শিমুলিয়া কাওরাকান্দি রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত

বৈরী আবহাওয়া ও নাব্যতা সংকটের কারণে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে চলাচলকারী ফেরির সংখ্যা কমে গেছে। মাত্র আটটি ফেরি এই পথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করতে পারছে।

দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আজ রোববার সকাল থেকে ঘাটে বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। কিন্তু নদীতে নাব্যতা সংকট ও ড্রেজিংয়ের কাজ চলার কারণে ফেরিগুলো পর্যাপ্ত যানবাহন পরিবহন করতে পারছে না। ফলে ঘাটের দুই পাড়ে দেখা দিয়েছে যানজট ও জনদুর্ভোগ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদ নেওয়াজ জানান, আজ ভোর ৪টার দিকে রো রো ফেরি শাহ আলী লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ডুবোচরে আটকা পড়ে। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাগবোট দিয়ে ফেরিটিকে সরিয়ে চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরিগুলো তুলনামূলক কম যানবাহন নিয়ে ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে পণ্যবাহী যানবাহনের চেয়ে যাত্রীবাহী বাহনগুলোকে আগে পার হতে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

পারাপার স্বাভাবিক রাখতে মোট আটটি ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়া নাব্যতা সংকট দূর করতে কাজ করছে ১২টি ড্রেজার।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান, ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে প্রাইভেটকারের সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া স্পিড বোটের মাধ্যমেও যাত্রীরা ঘাট পার হচ্ছেন। ফেরিগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ঘাট ছাড়লেও নাব্যতা সংকটের কারণে অল্প যান পরিবহন করছে এবং পার হতে সময় বেশি লাগছে। ফলে ঘাটের দুই পাশে বাড়ছে অপেক্ষমাণ যাত্রী ও বাহনের ভিড়। তবে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ঘাটে নিয়োজিত পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে একে তো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, অন্যদিকে ফেরি চলাচল কমে যাওয়ার কারণে গন্তব্যে পৌঁছানোর বিষয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যাত্রীরা।



মন্তব্য চালু নেই