শিশু আয়লানকে উদ্ধারকারী সেই পুলিশ কর্মকর্তা যা বললেন…

ভূমধ্যসাগরের তীরে মরে পড়ে থাকা কুর্দি শরণার্থী শিশু আয়লানকে উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটিকে উদ্ধারের মুহূর্তে তার কী অনুভুতি হয়েছিল সে ব্যাপারে বর্ণনা দিলেন। মেহমেত চিপলাক নামে তুরস্কের আধা সামরিক পুলিশ বাহিনীর এই সদস্য যখন আয়লানের দেহটি উদ্ধার করছিলেন তখন সাংবাদিকরা অনবরত তার ছবি তুলছিলেন।

কিন্তু সার্জেন্ট মেহমেত জানান, সাগরের বালুকাময় তীরে একটি শিশুকে ওভাবে মরে পড়ে থাকতে দেখে তিনি এতটাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন যে তিনি বুঝতেই পারেননি যে তার ছবি তোলা হচ্ছিল।

মেহমেত বলেন, আমি আয়লানের লাশটি দেখেই দৌড়ে গিয়ে মাথা ঝুকিয়ে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছিলাম যেন সে বেঁচে থাকে।

গত ১৮ বছর ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনের স্পট তদন্তকারী হিসেবে কর্মরত আছেন মেহমেত। এহেন মেহমেতও জানালেন, গত বুধবারের ওই দৃশ্য দেখার পর তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি নাকি চরম মনোঃকষ্টেও ভুগছেন।

তুরস্কের দোগান নিউজ এজেন্সির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি শিশুটিকে সাগরতীরে পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই তার দিকে এগিয়ে যাই। এসময় আমি বিড়বিড় করে বলছিলাম, ‘হে আল্লাহ, ছেলেটি যেন বেঁচে থাকে।’

মেহমেত বলেন, ‘তাকে উদ্ধারের পর যখনই আমি বুঝতে পারলাম যে সে আর বেঁচে নেই সঙ্গে সঙ্গেই আমার হৃদয়ে যেন একটি শেল বিধল। এটা ছিল এক ভয়াবহ দৃশ্য, এক ভয়াবহ ক্ষতি।’

তার মতে, ভূমধ্যসাগরে ওভাবে শরণার্থীদের মৃত্যু ছিল সমগ্র ‘মানবতার জন্যই একটি লজ্জা’র বিষয়। তবে নিহতদের উদ্ধার করে বিষয়টিকে বিশ্ববাসীর গোচরে আনার ক্ষেত্রে তিনি নিজে যে কী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারেননি মেহমেত।

মেহমেত বলেন, ‘আমি ফটোগ্রাফারদের দেখতে পাইনি। আর আমি এও জানতাম না যে আমার ছবি তোলা হচ্ছিল। আমি শুধু নিজের কাজ করে যাচ্ছিলাম।’



মন্তব্য চালু নেই