শিশু-কিশোরদের দখলে রাজধানী

বছর জুড়েই কর্মব্যস্ত মানুষের ছোটাছুটি। অন্যদিকে লেখাপড়ার চাপে স্কুল-বাসার বাইরে কোথাও যাওয়ার ফুসরৎ মেলে না শিশু-কিশোরদের। তবে ঈদের উৎসবে শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শিশু-কিশোররা। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে তাদের পদচারণায় মুখরিত। শহরের ওলিগলি থেকে রাস্তায় বর্ণিল পোশাকে তাদেরই উপস্থিতি। আজ শনিবার সকাল থেকে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শিশু-কিশোররা অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে দুপুর না হতেই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে হাজির।

রাজধানীর শ্যামলীর শিশু মেলায় দেখা গেছে বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের ছুটোছটিতে মুখরিত শিশুমেলা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই চড়ছে বিভিন্ন রাইডে। রাইসুল ইসলাম দুই ছেলেকে নিয়ে এসেছেন শিশু মেলায়। তিনি বলেন, নামাজ পড়েই বাচ্চারা বের হবার জন্য ছটফট করছিল। বৃষ্টি হচ্ছে তাও মানতে চাইছ‌‌‌ে না। বাধ্য হয়ে নিয়‌‌‌ে এলাম। সারাবছর তো সুযোগ হয় না তেমন, এই ঈদেই তো আনন্দ করবে।

নানার হাত ছেড়ে এদিক সেদিক ছুটছে নাবিলা। নানাও দৌড়ে কুলাতে পারছেন না তিন বছর বয়সীর নাতনীর সঙ্গে। চরকা, ট্রেন , প্লেনের রাইড চড়ার জন্য নিজেরাই দৌড়ে লাইনে দাড়িয়ে যাচ্ছে। শিশু মেলার মতো শাহবাগের শিশু পার্কেও সোনামনিদের ভিড়। দৌড়ঝাপ, ছুটোছুটি করছে পার্কের ভেতরে।

সবচেয়ে বেশি ভিড় চিড়িয়াখানায়। শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি বড়রাও এসেছেন চিড়িয়াখানায়। আর মানুষের আগ্রহকে বিবেচনা করে ভিন্ন রুটের বাসাও চিড়িয়াখানামুখী যাত্রীদের টানছে। গুলিস্তানে দেখা গেছে, বাঘ,ভাল্লুক,ময়ূর,কুমির নানা প্রাণীর নাম বলে যাত্রী ঢাকছে বাসের হেলপাররা। ঈদে উপলক্ষে ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। গুলিস্তান থেকে চিড়িয়াখানা ভাড়া ২৫ টাকা হলেও ৫০ টাকার নিচে ভাড়া নিচ্ছে না কোনও বাস। অন্যদিকে আবার বাসের ছাদেও যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে। চিড়িয়াখাো গেটের ভেতরে প্রবেশের দীর্ঘ লাইন। শিশুরা ভেতরে ঢুকেই ছুটছে বাঘ, বানরের খাঁচার সামনে। রাজু আহমেদ ছেলেকে এসেছেন চিড়িয়াখানায়। রাজু আহম‌‌‌েদ বলেন, ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছি। সে পশু-পাখি দেখে খুব খুশি।

এদিকে লালবাগ কেল্লা,আশুলিয়া ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক, হেরিটেজ পার্ক ও ওয়াটার কিংডম, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, গুলশান লেক এলাকা, ধানমন্ডি লেক এলাকায়ও বিনোদন পিয়াসীদের পদভারে মুখরিত ছিল।



মন্তব্য চালু নেই