শুধু বাংলাদেশকেই অগ্রাহ্য করল ভারত!

২০০০ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের পথচলা। তারপর প্রায় সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের মাটিতে গিয়েই সাদা পোশাকের ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। ‘প্রায়’ শব্দটা যুক্ত করতে হয়েছে শুধু ভারতের জন্য। পাশের দেশ ভারতে গিয়েই কখনো টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী, এ বছর একটি টেস্ট খেলতে প্রথমবারের মতো ভারত সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটা যে হচ্ছে না, তা নিশ্চিত হয়েই গেছে।

২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে অনুষ্ঠিতব্য সফরসূচির তালিকা প্রকাশ করেছে ভারত। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী সব কিছুই আছে সেই তালিকায়। নেই শুধু নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেটির কথা। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফর শেষে হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতিতে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়নি। ফলে আবারও শঙ্কা জাগছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। এ বছরের মতো সেটিও শেষপর্যন্ত পিছিয়ে যাবে না তো?

কোন দেশ কবে কার বিপক্ষে খেলবে তা অনেক আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কারা কোথায় সফর করবে, কয়টি ম্যাচ খেলবে তা বলা আছে আইসিসির এই ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে। সেটি অনুযায়ী, এ বছরের আগস্টে ভারতে গিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটি হচ্ছে না ভারতের অনাগ্রহের কারণে।

অথচ আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচির অন্য সব কিছু কিন্তু ঠিকঠাকই রেখেছে ভারত। নির্দিষ্ট সময়েই ভারতীয় ক্রিকেট দল যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। তারপর এবছরের অক্টোবরে ভারত সফরে যাবে নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজের পর ঘরের মাটিতে ভারত খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ফেব্রুয়ারি-মার্চে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারত যাবে অস্ট্রেলিয়া। সব কিছুই করা হচ্ছে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী। বাদ পড়েছে শুধু বাংলাদেশ। মাত্র একটি টেস্ট খেলার জন্য ভারতে যাওয়ার সুযোগটাও পাচ্ছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের পর বাংলাদেশ যদি শেষপর্যন্ত ভারত সফরে যায় তাহলে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি আয়োজিত হবে হায়দরাবাদে। কিন্তু সেটি আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাবে। কারণ ২০১৭ সালের জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। তার আগ দিয়ে ভারত হয়তো আবারও অনাগ্রহ দেখাবে টেস্ট খেলতে।

শেষপর্যন্ত কী হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলার কোনো উপায় নেই। তবে ভারত যে অন্য সব কিছু ঠিক রেখে শুধু বাংলাদেশকেই অগ্রাহ্য করল; তা স্বীকার করতেই হবে।



মন্তব্য চালু নেই