শুধু বাম পাশ ফিরে ঘুমোলেই মিটবে শরীরের হাজারো সমস্যা! জেনে নিন কীভাবে…

আপনি কীভাবে ঘুমোচ্ছেন, তার উপর অনেকখানি নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা। জার্নাল ফর অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত ডাক্তার জন ডাউলার্ড রচিত একটি গবেষণাপত্রে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে।

ঘুমের মতো আরামপ্রদ কাজ কমই আছে। আর ঘুমের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু পছন্দের মুদ্রা থাকে। কেউ চিৎ হয়ে ঘুমোতে পছন্দ করেন, কেউ ডান পাশ ফিরে ঘুমোতে ভালবাসেন, কেউ বা বাঁ পাশ ফিরে। কিন্তু জানেন কি, আপনি কীভাবে ঘুমোচ্ছেন, তার উপর অনেকখানি নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা। জার্নাল ফর অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত ডাক্তার জন ডাউলার্ড রচিত একটি গবেষণাপত্রে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। কীরকম? আসুন, জেনে নিই।

ওই গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে, চিৎ হয়ে ঘুমনো একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষত যাঁরা হাপানিতে ভুগছেন কিংবা ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় যাঁদের (স্লিপ অ্যাপনিয়া), তাঁদের চিৎ হয়ে ঘুমনো একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ চিৎ হয়ে ঘু‌মোলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। ডান পাশ ফিরে ঘু‌মনোও ভাল নয়। কারণ ডান পাশ ফিরে যাঁরা ঘুমোন, তাঁদের অনেকের মধ্যেই হজমের গোলমাল দেখা দেয়। পরিণামে কম এবং অগভীর ঘু‌মের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

গবেষণাপত্রটির পরামর্শ, বাঁ পাশ ফিরে ঘুমনোই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোলে গৃহীত খাদ্য দ্রুত হজম হয়। সেইসঙ্গে খাবারের পুষ্টিগুণও সহজে গৃহীত হয় শরীরে। পাশাপাশি শরীরে রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। অন্যদিকে, বা পাঁশ ফিরে ঘুমনোর ফলে পিত্তরস ও শরীরের বর্জ্য পদার্থ তাদের নিজস্ব পথে যথাযথভাবে প্রবাহিত হয়। পরিণামে শরীর থাকে তরতাজা এবং স্ট্রেসের পরিমাণ যায় কমে।

ডাক্তার ডাউলার্ডের পরামর্শ, যে পাশ ফিরে ঘুমনোই আপনার অভ্যাস হোক না কেন, চেষ্টা করুন অভ্যাস বদল করে বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোতে। এই অভ্যাস বদল করা অবশ্য সহজ নয়। কিন্তু একেবারে অসম্ভবও নয়। শারীরিক সুস্থতার জন্য এটুকু তো করাই যায়।



মন্তব্য চালু নেই