শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মোদী-নওয়াজ

একই সময়ে নিউইয়র্ক সফর করছেন প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা। সফরকালে তারা ওঠেছেন একই হোটেলে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। এমনকি সৌজন্যবশত হাতও মেলাননি দুই প্রধানমন্ত্রী। তবে জাতিসংঘের এক বৈঠকে অংশ নেয়ার সময় পরস্পরের দিকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বুধবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

সোমবার শান্তিরক্ষা নিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সভাকক্ষে আগে প্রবেশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তার জন্য নির্ধারিত টেবিলের ডান দিকের আসনে গিয়ে বসেন। এর কয়েক মিনিট পর কক্ষে প্রবেশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি বসেন টেবিলের বাঁ দিকের আসনে। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনেকটা ব্যবধান থাকলেও তারা বসেছিলেন মুখোমুখি। হঠাৎ মোদী দেখেন, তাঁর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছেন শরিফ। হাসিমুখে হাত নেড়ে সাড়া দেন মোদীও। একটু পর মোদী আবার হাত নাড়েন। জবাবে হাসিমুখে মাথা নাড়েন শরিফ। এরপর দুই নেতাই একে অন্যের ভাষণের পর হাততালি দিয়ে সৌজন্য প্রকাশ করেছেন। তারা ওই বৈঠকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ছিলেন। মোদী তাঁর ভাষণ শেষ করে চলে যান। দশ পনের মিনিট পর কক্ষ ছাড়েন পাক প্রধানমন্ত্রীও।

শরিফ যেদিকে বসেছিলেন, সেদিকেই বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদীর পাশে বসেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি–মুন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

নিউইয়র্কের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মোদী এবং শরিফ দুজনেই নিউইয়র্কে একই হোটেলে ওঠলেও দুজনার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়নি। দুজনের আলাদা করে কোনও বৈঠক যে এবার হচ্ছে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলো দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে জল্পনাকল্পনা চলছিল, দুই নেতার মধ্যে হোটেলে মুখোমুখি হয়ে যাওয়া, হাত মেলানো এরকম কিছু সৌজন্য হতেই পারে। কিন্তু হয়নি।

গত জুলাইয়ে রাশিয়ার উফায় শেষ দেখা হয়েছিল দুজনের। আলাদা করে বৈঠকও হয়েছিল সেখানে। সেই আলোচনা থেকেই সম্ভাবনা তৈরি হয় দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিল্লির পাক হাইকমিশনে সাক্ষাৎয়ের জের ধরে তা বানচাল হয়ে যায় । সম্প্রতি কাশ্মীর সীমান্তে দু পক্ষের গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আরো অবনতি হয়েছে। ফলে অচিরেই এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের সম্ভবনা নেই তা এক প্রকার নিশ্চিত।



মন্তব্য চালু নেই