প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর, কোথায় কখন কী?

৭ এপ্রিল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ঐতিহাসিক সফরে ভারতে যাচ্ছেন। বিকেলে দিল্লিতে পৌঁছার পরপরই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ মর্যাদায় রাষ্ট্রপতি ভবনেই থাকবেন। সন্ধ্যায় দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে তাকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয়া হবে। সংবর্ধনায় কূটনীতিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

পরদিন ৮ এপ্রিল হায়দ্রাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। একগুচ্ছ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীর হিন্দি সংস্করণ উন্মোচন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে মহান মু্ক্তিযুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী ভারতীয় সৈনিকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৭ শহীদ ভারতীয় সেনা পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা পত্র প্রদান করবেন।

৯ এপ্রিল সকালে প্রধানমন্ত্রী আজমীর শরীফ যাবেন। সেখানে খাজা মঈনউদ্দিন চিশিতি (রহঃ)-এর দরগাহ শরীফ জিয়ারত করবেন। একইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করবেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত এক নৈশ ভোজে যোগ দেবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

১০ এপ্রিল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে দিল্লী ত্যাগ করবেন।

প্রধনমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব এক নতুনমাত্রায় উন্নীত হবে। একই সঙ্গে উভয় দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় সূচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই