‘শেখ হাসিনার যুগান্তকারী কর্মসূচি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’

দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরকারি তথ্য বিবরণীতে পাঠানো এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম। তার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি দেশকে ধাপে ধাপে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যাচ্ছেন তার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে। কিন্তু তার চলার পথ মসৃণ ছিল না।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলার মাটিতে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক সূচিত হয়। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।’

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ৯০ এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। এ সময় পাহাড়ি-বাঙালির দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে পাবর্ত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর তার নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং জনকল্যাণে নানামুখি কর্মসূচি গ্রহণ করে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে সরকার পরিচালনা করছে। জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণের চুক্তির মাধ্যমে গণমানুষের কল্যাণে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ও ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তার নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনাও করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই