‘শেখ হাসিনা ভাঙবেন, কিন্তু মচকাবেন না’

দুই যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মো. মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সন্তুষ্টির রেশ ছিল জাতীয় সংসদ অধিবেশনেও।

রোববার প্রথম প্রহরে বিএনপি ও জামায়াতের এই দুই নেতার ফাঁসি কার্যকরের পর বিকালে সংসদ অধিবেশনে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রশ্নোত্তর পর্বে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গ তুলে সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এসসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী বলেন, “কালকে (শনিবার) সন্ধ্যায় একবার আমরা ভেবেছিলাম, এটা (মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) মনে হয় স্থগিত হয়ে যাচ্ছে।

“শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, উনি ভাঙবেন, কিন্তু মচকাবেন না।”

ছয়বারের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের ছিলেন একাত্তরে চট্টগ্রামের ত্রাস। তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তার সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মুজাহিদ সংসদ সদস্য হতে না পারলেও মন্ত্রী হয়েছিলেন।

নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, “আজকে সংসদ আনন্দিত ও উদ্বেলিত। সুশাসন বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা তার কমিটমেন্ট পূরণ করেছেন।

“প্রমাণিত হয়েছে, পৃথিবীর বুকে ও এই বাংলার বুকে অন্যায় করে কেউ টিকে থাকতে পারে না, দাম্ভিকতা দেখিয়ে কেউ বিনা চ্যালেঞ্জে আর বসবাস করতে পারবে না।”

মুসলিম লীগ নেতার ছেলে সালাউদ্দিন কাদের তার দাম্ভিকতা আর মন্তব্যের জন্য ছিলেন বিতর্কিত। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কটাক্ষ করতেন তিনি। মুজাহিদ দম্ভের সঙ্গে বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “আজ আমি আনন্দে দিশাহারা হয়ে গেছি। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন সেটা করেন।

“আজকে আমি চিৎকার করে সারা বাংলার মানুষকে বলতে চাই, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশে কোনো রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।”

যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার শেষ করতে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।

“শেখ হাসিনা থাকলে গণতন্ত্র থাকবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে।”



মন্তব্য চালু নেই