শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আশ্রয়ণের বাসিন্দা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোর বাসিন্দা’রা। ঈদুল ফিতরও কেটেছে তাদের আনন্দ বিহীন ভাবে। সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় ৫টি আশ্রয়ন কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্র গুলো হচ্ছে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া আবাসন প্রকল্প, গুমড়া ও ডেফলাই গ্রামের গুচ্ছ গ্রাম, কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গুচ্ছ গ্রাম, ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলী আশ্রয়ন প্রকল্প। দেশ স্বাধীনের পর বিভিন্ন সরকারের সময়ে এসব কেন্দ্র গুলো স্থাপন করা হয়।
এতে এলাকার ছিন্নমূল পরিবারের সদস্যদের পুনঃবাসন করা হয়। এদের মধ্যে জীবিকার তাগিদে অনেকেই পাড়ি জমিয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে। বর্তমানে এসব আশ্রয়ন কেন্দ্র গুলোতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এরা সবাই শ্রমজীবি। বর্ষা মৌসুমে হাতে কাজ না থাকায় ঈদুল ফিতর কেটেছে এসব আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দাদের আনন্দ বিহীন। এবারো ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

ভারুয়া আবাসন প্রকল্পের সভাপতি সাহাবুল মিয়া, কান্দুলী আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের সাধারন সম্পাদক জুনাব আলী জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা হবার পর থেকে তাদের ছেলে-মেয়ের ভাগ্যে জুটেনা কোরবানীর মাংস। সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের মধ্যে অনেকেই বাজার থেকে মাংস ক্রয় করে থাকেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা অনেকেই তাদের ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা-কাপড় পর্যন্ত ক্রয় করতে পারেনি। কারো কারো ঘরে আবার জ্বলবে না চুলা।

আশ্রয়ন প্রকল্পের বিষয় নিয়ে ইউএনও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, আশ্রয় প্রকল্পের দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের ভিজিএফ’র চাল বিতরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই