শেরপুর সীমান্তে মৃত হাতি উদ্ধার

শেরপুর: জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট এলাকার গান্ধিগাঁও গ্রামের শইরাচালীতে একটি বড় বন্যহাতির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর পিঠের ওপর একটি ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। তবে কী কারণে হাতিটি মারা গেছে তা জানা যায়নি।

খবর পেয়ে রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট কর্মকর্তা আব্দুর রফিক, শেরপুর জেলার বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ঘটনাস্থলে যান। পরে হাতিটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রিপোর্ট তৈরির পর মৃত হাতিটিকে পাহাড়ের গর্তে পুঁতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

দীর্ঘদিন থেকে শেরপুর সীমান্ত অঞ্চলে প্রায়ই বন্য হাতির মৃত্যু হচ্ছে মানুষের হাতে। আবার হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মানুষও মারা যাচ্ছে।

শেরপুরে তিনটি উপজেলা ৬০ কি.মি. ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চল। এই পাহাড়ি অঞ্চলের গ্রামগুলোতে বন্যহাতির তাণ্ডবে প্রাণহানির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং পঙ্গুত্বের সংখ্যাও কম নয়। দীর্ঘদিন থেকে ভারত থেকে নেমে আসা বন্যহাতির দল খাদ্যের সন্ধানে বাংলাদেশের বনাঞ্চলে প্রবেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশের বনাঞ্চলে পূর্বের মতো পশুদের খাবার যে সমস্ত গাছ-পালা থাকা দরকার তা নেই। ফলে হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে বনাঞ্চলের লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে কৃষকের গাছ-পালা, ফসল ও ঘর-বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষায় কৃষকেরা রাতভর জেগে মশাল জ্বালিয়ে পাহারা দেয়। এতেও শেষ রক্ষা হয় না।



মন্তব্য চালু নেই