শেষবার বাড়ি ফিরছে সুমাইয়া, সাকিবের ফেরাই হলো না

পথের ঝক্কি ঝামেলা শেষে বাড়ি ফেরার পরই মনে হয় সত্যিই ঈদ! ঢাকায় বেড়ে ওঠা শিশুদের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সবচেয়ে বড় উপলক্ষই বছরের দুই ঈদ।

সাকিব (৫) আর সুমাইয়ার (৩) বিষয়টা আলাদা। তারা এখনো ভালো করে বুঝতেও শেখেনি আনন্দ-উচ্ছ্বাস। নতুন সব কিছুতেই যেন তাদের ‘থ্রিলিং’ মনোভাব। তবে তাদের বাবা সুমন আর মা সালমা বেগমের উচ্ছ্বাস ছিল অন্যরকম। সন্তানদের সঙ্গে গ্রামের মানুষের পরিচয় কম। এবার হবে নিশ্চয়ই। কিন্তু না, উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ রইলো না।

ঢাকা ছাড়তে না ছাড়তেই তাদের দুই সোনামনি চিরতরে ছেড়ে গেল তাদের। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পল্টুনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় লঞ্চের ধাক্কায় পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের দুই সোনামনির। এদের মধ্যে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও অন্য জনেরটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) তথ্যটি নিশ্চিত করেন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় শরীয়তপুর যাওয়ার জন্য সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুনে বাবা মায়ের সাথে অপেক্ষা করছিলেন সাকিব (৫) ও সুমাইয়া (৩) নামের দুই ভাই বোন। এসময় অন্য একটি লঞ্চ এসে পন্টুনে ধাক্কা দিলে ওই দুই শিশু পানিতে পরে যায়। পরে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর সুমাইয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও তার ভাই সাকিবের মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

ওই দুই শিশুর বাবা সুমন ও মা সালমা বেগম জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরের নীলফামারিতে। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য তারা সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসেছিলেন। এসময় লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন থেকে তাদের দুই সন্তান পানিতে পরে যায়।

এদিকে সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, সাকিবের মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি এবং নৌ পুলিশ কাজ করছে।



মন্তব্য চালু নেই