শোকের দিনে উৎসব করলে জনগণ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব- উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘আগামীতে জাতীয় শোক দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলির বদলে উৎসব করেন বাংলার মানুষ আপনাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘৭০ বছর বয়সে উনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন। তাও আবার মিথ্যা জন্মদিন। কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকীতে উনারা কেক কাটেন না। কোনো নেতার জন্মদিন পালন করেন না। পাকিস্তানী এজেন্ট হিসেবে, পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকীর দিনে উৎসব করেন।’

তিনি বলেন, ‘এ কেক কাটার মাধ্যমে আপনি প্রমাণ করছেন, আপনি বাংলাদেশের নাগরিক না। আপনি পাকিস্তানের নাগরিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করেন না। যে সকল বিএনপি নেতা এটাকে সমর্থন করেন, তারাও পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাসী। ভবিষ্যতে জাতীয় শোকের দিনে শ্রদ্ধাঞ্জলির বদলে উৎসব করলে বাংলার মানুষ আপনাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মানে না। বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। তাদের জায়গা বাংলাদেশে হবে না। ’৭১-এর ও ’৭৫-এর ঘাতকরা এখনো সক্রিয় আছে। জাতির পিতার কন্যাকে যে কোনোভাবে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা এখন নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। তাই এই সকল ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

তারেক রহমান হওয়া ভবনে বসে উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন সৃষ্টি করেছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘তারাই ১৭ আগস্ট এক যোগে সিরিজ বোমা হামলা করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছিল। সেই সময় তারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। সেই বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রে সক্রিয় আছে। তারা গুলশান এবং লন্ডনে বসে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। এখন সময় এসেছে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে। যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন জঙ্গিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।’

বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকট আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই