শ্যামনগর প্রেসক্লাবে ধারাবাহিকভাবে চলছে প্রানবন্ত ইফতার পার্টি

পবিত্র রমজান মাস হল সিয়াম সাধনার মাস।পবিত্র মাসে সারাদিনের রোজা শেষে ইফতার করতে হয়।ইফতার অনুষ্ঠান পারিবারিক,প্রাতিষ্ঠানিক সহ বিভিন্ন পর্যায়ে হয়ে থাকে।কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলেও ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন।এ ক্ষেত্রে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবও পিছিয়ে নেই।

শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব ঠিক ১লা রমজান থেকে ধারাবাহিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রত্যহ ইফতার পার্টির আয়োজন করে চলেছে।এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় প্রতিদিন উপজেলা প্রেসক্লাবের কোন না কোন সদস্য ইফতারের যাবতীয় ব্যয় ভার বহন করছেন। ইফতারের উপকরণ হিসেবে থাকছে মুড়ি, ছোলা, শশা, পেয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন প্রকার চপ, সুজির হালুয়া, রকমারী ফল সহ ১৬/১৭ প্রকার আইটেম।প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০ জন।

উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীর বলেন পবিত্র রমজান শুরুর পূর্বেই একটি তালিকা সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।ঠিক সে অনুযায়ী সেই ব্যক্তি সেই দিন ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন।সকাল থেকে তিনি প্রেসক্লাবের কেয়ারটেকার বাদশাকে সাথে নিয়ে কেনাকাটা থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রস্ততি নেন।রমজান শুরুর পূবেই ইফতার পার্টি দেওয়ার লক্ষ্যে প্রায় বেশ কিছু উপকরণ ক্রয় করা হয়।ইফতার পার্টিতে শুধু সাংবাদিকবৃন্দ নন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহন করে থাকেন।জানা যায় প্রায়ই ৩০/৩৫ জন ইফতার পার্টিতে অংশ গ্রহন করেন।তবে দূরবর্তী সাংবাদিকবৃন্দ প্রত্যহ অংশ গ্রহণ করতে পারেননা।

প্রেসক্লাব সভাপতি সহ অন্যান্য সদস্যরা জানান ইফতার পার্টিতে কোরাণ তেলওয়াত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়।দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ।

উপজেলা প্রেসক্লাবের ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহনকারী একজন মতামত প্রকাশ করে বলেন প্রেসক্লাবের ইফতার পার্টি হল প্রাণবন্ত ইফতার পার্টি।অংশগ্রহণকারীরা আরও বলেন পবিত্র এ মাসে কর্মরত সাংবাদিকদের এটি একটি মহতি উদ্যোগ।যাদের ইফতার সামগ্রী ক্রয়ের সামর্থ্য নেই এমন ব্যক্তিও এখানে অংশ গ্রহণ করেন।ইফতার সামগ্রী প্রদানকৃত একজন সাংবাদিক বলেন প্রেসক্লাবে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক এ আশা ব্যক্ত করি।



মন্তব্য চালু নেই