শ্রমিকলীগের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে সরকারি জমি দখল, প্রসাশন নিরব ভুমিকায় !

ঝালকাঠির রাজাপুর সদরের ডাকবাংলো মোড়ে অর্ধকোটি টাকার সরকারি খাস জমি দখল করে উপজেলা শ্রমিক লীগের কার্যালয় বানিয়ে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির ছবিসহ পোষ্টার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের দখল কার্যক্রম চলে আসলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নিরব ভুমিকা পালন করছে। ইতিমেধ্যে সরকারি ওই জমিতে স্থায়ী ঘর নির্মান ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে মেঝেও পাকা করার কাজও দ্রুতো গতিতে চলছে বলে আভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো সুপার মার্কেটের বিপরীত পার্শ্বে প্রায় অর্ধকোটি টাকার সরকারি খাস জমি গত একমাস আগে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম সোনা মৃধার নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ ও ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের নিয়ে ওই জমিতে বালুভরাট করে দখল করে নেয়। এরপরেই তড়িগড়ি করে পলিথিনের ছাউনি সরিয়ে কাঠ ও টিন দিয়ে ঘর নির্মান সহ ঘরের মেঝেও পাকা করে।
সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, উপজেলা শ্রমিক লীগের প্রধান কার্যালয় নামে সাইনবোর্ড ঝুলানো ঘরের ভেতর একটি টেবিল ও ৬ খানা রঙিন চেয়ারে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেখানে এখন কয়েকজন শ্রমিকলীগ নেতার পাশাপাশি নিয়মিত বসেন ফার্ণিচার এবং কাঠ ব্যবসায়ী-কর্মচারিরা। আর কার্যালয়ের পাশেও বসানো হয়েছে একটি চায়ের দোকান। কিছুদিন পূর্বে একই স্থানে শাসক দলের কতিপয় নেতাকর্মী দোকানঘর নির্মানের নামে দখল কার্যক্রম চললেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা উচ্ছেদ করা হয়। কছেশ দিনের ব্যবধানে পুনরায় শ্রমিকলীগের নামে উক্ত জমি দখল করা হল।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিকলীগ নেতা বলেন, ‘প্রথমে এখানে দোকান নির্মান করার কথা ছিল তবে তা নির্মানে প্রশাসন ও পাশ্ববর্তী জমির মালিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাধা দেয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়েছে। অফিস নির্মানের ব্যাপারে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। তাদের এ দখলবাজী পাকাপোক্ত করতে স্থানীয় এমপি বিএইচ হারুনকে অফিসটি উদ্বোধনের অনুরোধ করলেও তিনি এখানে আসতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তাই আমরা কিছুটা চিন্তিত আছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সাদিকুুর রহমান বলেন, ‘প্রথম দফায় দখলের পর অভিযোগ পেয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় দফায় তারা শ্রমিকলীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখলের পর তারা ঘরের মধ্যে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির ছবিসহ পোষ্টার লাগিয়ে দিয়েছে। এ কারনে আমি উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েও বিষয়টি লক্ষ করে অসহায় ভাবে ফিরে এসেছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম সোনা মৃধা সহ শ্রমিকলীগের কয়েক নেতার সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তারা সাংবাদিকদের কাছে কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।



মন্তব্য চালু নেই