শ্রীমঙ্গল রাজা হ্যাঁচারীর মাছের পোনা এখন দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় যাচ্ছে

সৌরভ আদিত্য শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ- মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জে রাজা মিয়া নিজের বিশাল ফিসারীর জন্য তৈরি মাছের হ্যাঁচারীর পোনা এখন দিতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকার ফিসারী মালিকদের। এতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রীমঙ্গল রাজা মিয়া ফিসারীজ এর পরিচালক মাষ্টার গোলাম মোস্তফা রাজা।

রাজা মিয়ার হ্যাঁচারীর পোনা শত ভাগ বর্ধিষ্ণু ওলাভ জনক যা দৃষ্টিকারে ফিসারিজদের। মাষ্টার গোলাম মোস্তফা রাজা স্ত্রী সন্তানাধি নিয়ে ছিলেন প্রবাসে। কিন্তু দেশ মাতৃকার টানে তার প্রবাস জীবন বেশি দিন স্থায়ী হয় নাই। ফিরে আসেন দেশে। শুরু করেন নিজের কেনা জমিতে ফিসারী করে মাছের চাষ। একটি দুটি করে একসময় তার ফিসারী ছাড়িয়ে যায় শতের উপরে। কিন্তু ফিসারী বৃহদাকার ধারন করার পর! . পড়েন মাছের রেণু ও পোনা নিয়ে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পোনা ও রেণু এনে তিনি বেশ ঠকছিলেন।

এ ভাবে ৭/৮ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি সিন্ধান্তনেন নিজেই হ্যাঁচারী করে নিজের ফিসারীতে ছাড়বেন। এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি গড়ে তুলেন রাজা হ্যাঁচারী। নিয়োগ দেন ৫ জন ডাক্তার। অতন্ত দক্ষতার সাথে শুরু হয় রেণু উৎপাদন। আর রেণুর জন্য মা মাছ ও পুরুষ মাছ বাছাই করেন নিজের ফিসারী থেকেই। এর পর থেকে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শতভাগ দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে নিজের হ্যাঁচারীর পোনা দিয়েই তার ফিসারী গুলোর চাহিদা মেটান। তার মাছের গ্রুথ ও অন্য যে কোন ফিসারীর চেয়ে ভালো। তার ফিসারীতে প্রাপ্ত বয়স্ক রুই, কাতল,ঘাসকাপ ও ব্রীগেডসহ বিভিন্ন জাতের মাছ সর্বোচ্চ ওজন তিনি ১০ কেজি পর্যন্ত রেকর্ড করেন। অনান্য ছোট প্রাজাতের মাছের সাইজও আশানুরূপ। এদিকে রাজা মিয়ার হ্যাঁচারীর পোনার শতভাগ বেঁচে যায় এবং এর গ্রুথ খুব ভালো এ খবর আশে পাশে ছড়িয়ে গেলে অনেকেই তাকে পোনা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। তিনি নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও কিছু কিছু পোনা খরচ সাপেক্ষে মূল্য নির্ধারন করে বিক্রি করেন। এক পর্যায়েএটি নিজের উপজেলা থেকে জেলা বিভাগ এমন কি সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে বেড়ে যায় তার বাহিরের ক্রেতা। তার কাছ থেকে পোনা নিতে হলে আগাম যোগাযোগ করে গেলেই বেশ ভালো হয়। বিভিন্ন সময় তিনি পোনা বিক্রি করার পাশাপাশি পরামর্শ ও দিয়ে থাকেন। পোনা নিয়ে ভূক্তভোগী কোন খামারী যদি তার পরামর্শ ও পোনা ক্রয় করতে চান তাহলে তার সাথে যোগাযোগও করতে পারেন। সরাসরিও তার ফিসারীতে গিয়ে যোগাযোগ করা যেতে পারে। তার ফিসারীতে যেতে হলে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সিএনজি আটো রিক্সা নিয়ে তিন কিলো মিটার ঢাকা অভিমুখে মতি গঞ্জ বাজারের আগে বিলাশ নদীর ডান দিক দিয়ে পাকা রাস্তায় নদীর পাড়ে পাড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার গেলেই সাইনবোর্ড নির্দেশনায় রাজা ফিসারীজ পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে রাজাফিসারীজের পরিচালক মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা জানান, নিজের জন্য করে এখন মানুষকে দিচ্ছেন। ভালোমানের পোনা উৎপাদন করতে পারছেন এতে তিনি নিজেই খুব খুশি। তিনি জানান, লন্ডনে ব্যবসা বানিজ্য করেও তিনি এতো তৃপ্তি পাননি বর্তমানে হ্যাঁচারী ও ফিসারী করে যা পাচ্ছেন। বর্তমানে তার এ প্রতিষ্টানে প্রায় দেড়শতাধিক লোক কাজ করে তাদের জীবন নির্বাহ করছে। প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান এরসুযোগ দিতে পেরেও তিনি খুব খুশি।



মন্তব্য চালু নেই