শ্রীলংকার বোলিংটাই শক্তিশালী !

ক্রিকেটে এক সময়ের পরাশক্তি। মুত্তিয়া মুরালিধরনের সময় অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলগুলোর সঙ্গে একই কাতারে উচ্চারিত হতো শ্রীলংকার নাম। মুরালির বিদায়ের পরও লংকানদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রেখেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় সম্ভব হয়েছে শুধু তাদের কারনেই। এরপর এ দু’জনের বিদায়। অবশেষে চরম অন্ধকার নেমে এলো যেন লংকানদের ক্রিকেটে।

সবারই প্রশ্ন, কে ধরবে লংকান ক্রিকেটের হাল? কোথায় ভালোমানের ক্রিকেটার? এ প্রশ্নই ঘুর-পাক খাচ্ছে গত এক বছর ধরে। ২০১৫ সালে ১১টি টেস্ট খেলে ৭টিতেই হেরেছে তারা। এমন এক পরিস্থিতিতে লংকান ক্রিকেটের সুদিন ফেরানোর দায়িত্ব আবারও ঘাড়ে তুলে নিয়ে প্রধান নির্বাচক হলেন সনাৎ জয়সুরিয়া। দায়িত্ব নিয়েই তিনি মনযোগ দিলেন ভালোমানের ক্রিকেটার খুঁজে বের করার দিকে।

তবে চলতি সিরিজগুলোও তো চালিয়ে যেতে হবে! সুতরাং, ইংল্যান্ড সফরের জন্য ইতিমধ্যে দলও ঘোষণা করা হয়ে গেছে। দল ঘোষণার পর নিজের দলের বিশেষত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে জয়সুরিয়া বলেন, ‘আমার দলের একটি বিভাগ আছে অন্তত, যেটার ওপর আস্থা রাখতে পারি। সেটা হলো আমাদের ভালো বোলিং লাইনআপ। আমাদের আছে বিশ্বসেরা বোলিং লাইনআপ। পাঁচজন পেসার। সাথে আছে অভিজ্ঞ স্পিনার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে এদের।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে রয়েছেন এই পাঁচ পেসার। ধামিকা প্রাসাদ, সামিন্দা এরাঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ, সুরঙ্গা লাকমাল এবং দুষ্মন্তে চামিরা। চামিরা আবার ফিরেছেন পিঠের ইনজুরি থেকে।

জয়সুরিয়ার কাছে শ্রীলংকার ব্যাটিং লাইনআপটাই যা একটু অস্বস্থির বিষয়। তবে তারা চান ভালো হোক, খারাপ হোক- দ্রুত তরুণদের টেস্টে খাপ খাইয়ে নিতে। যাতে একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে তারা।



মন্তব্য চালু নেই