সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর হাস্যরস

কথা হচ্ছে নানা গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে। বাংলাদেশের অর্জন, জঙ্গিবাদ, জাতিসংঘ সফর, এ নিয়ে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যেও স্বভাবসুলভ হাস্যরস করতে ভুললেন না শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নানা অর্জন নিয়ে কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে বরাবরের মতো হাসিঠাট্টা উঠে আসে। কখনো নিজে থেকে আবার কখনো সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি সবাইকে হাসিতে মাতিয়ে তোলেন।

লিখিত বক্তব্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু করলেও কিছু সময় পর প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বাকিটা অংশ পড়ে নেয়ার অনুরোধ করেন। বলেন, ‘বাকিটা পড়ে নিয়েন….।’ এসময় উপস্থিত সাংবাদিক এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সবাই হেসে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রীও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

লিখিত বক্তব্যের পর প্রশ্নোত্তর পর্বেও হাসিঠাট্টার রেশ কাটেনি। বরং বেড়ে যায়। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল দেশ না থাকায় প্রধানমন্ত্রীকে ঈদুল আজহা ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। বলেন, আপনি দেশে না থাকায় বিলম্বে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

প্রশ্ন শেষ না হতেই প্রধানমন্ত্রী হেসে বলেন, ‘বয়সটা বাড়ানোর কথা মনে করিয়ে দিলেন..!’ এসময় সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সবাই উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন।

এরকিছু পরই কথা বলতে গিয়ে সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে নানান মহলের এমন গুঞ্জন নিয়ে বলেন, “আমি নাকি আর্মিকে কন্ট্রোল করছি তারা কিছুই করতে পারছে। তাহলে কি যারা বলছে তারা কি আর্মি নিয়ে নাড়াচাড়া করছে কিন্তু ফল পায়নি।”

বেশ কয়েকটি প্রশ্নের পর প্রধানমন্ত্রীকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সফর বাতিল নিয়ে কথা বলেন। এরপর সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য বৈশাখের বোনাস ঘোষণায় সাধুবাদ জানিয়ে বেসরকারিখাতেও এই ভাতা চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চান।

উত্তরে ১লা বৈশাখের উদযাপনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকরা ঠিক মতো বোনাসটা দিবেন তো?”।

পিআইবির চেয়ারম্যান ও সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার প্রশ্ন করতে গিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। এ সময়ও তাকে বলেন, ‘প্রশ্নের উত্তরটা দিতে দেন। আপনার মন্তব্যই তো অনেক বড় হয়ে গেলো’।



মন্তব্য চালু নেই