সংসদে গণতন্ত্র চর্চা হয় না, হয় পূজা : শাহ মোয়াজ্জেম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় সংসদ গণতন্ত্রের জায়গা। কিন্তু সেখানে আজ গণতন্ত্র চর্চা হয় না, হয় পূজা। ভণ্ডরাই মানুষকে ধোঁকা দিতে লালসালু দিয়ে চেতনার কথা বলছে। আর সরকার মুক্তিযুদ্ধের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অসত্য শেখাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে যারা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর উল্লাস করেছে, তারা মানুষকে গণতন্ত্র শেখাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অশনিসংকেত।’

গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও রুগ্ন গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আশির দশকের ১০১ ছাত্রনেতার ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিলে সভাপতিত্ব করেন সরওয়ার আজম খান।

শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে এখন লালসালুর রাজনীতি চলছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেননি তারা এখন মুক্তিযোদ্ধা সেজে চেতনা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র এখন মৃত্যুশয্যায়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী খালেদা জিয়া, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের জেলে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আজ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কখনো আওয়ামী লীগ করেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। কিন্তু সংসদে বসে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনইনি, তারা রাষ্ট্রদ্রোহের ভুয়া মামলা করছেন। এটি লজ্জার। যারা মামলা করেছেন এবং সেই মামলা গ্রহণ করেছেন, তাদের ধিক! যারা এ ধরনের ভুয়া মামলা গ্রহণ করেছেন, তারা রাষ্ট্রদ্রোহ শব্দটির বানান করতেও জানেন না।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজ দেশ থেকে গণতন্ত্র বিলুপ্ত। ধর্ম বিলুপ্ত। সতীত্ব বিলুপ্ত। নারীরা রাস্তায় বের হতে পারেন না। ছাত্রলীগ দেশে ধর্ষণতন্ত্র কায়েম করেছে। আর আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভোটাধিকার লুট করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। মানুষ এটি কখনো মেনে নেবে না। মানুষ একদিন জাগবে। বিএনপি জাগবে।

শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিএনপি চার স্থানে কাউন্সিল করার অনুমতি চেয়েছে। কোথাও দেওয়া হয়নি। কিন্তু কাউন্সিল আমাদের হবেই। যেভাবেই হোক হবে। কাউন্সিলের অনুমোদন না দেওয়া অসৎ উদ্দেশ্য।’ মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন কোনো মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে না। এখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ইউপি নির্বাচনে কোনো ধরনের জালিয়াতি হলে সারা দেশের মানুষ আপনাদের ছাড়বে না!’

গোলটেবিল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা আবু তাহের তালুকদার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, অ্যাডভোকেট নাজিবুল হক নান্নু, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই