সঙ্কট নিরসনে শিগগিরই তিন হাজার জনবল নিয়োগ করা হবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কারাগারে জনবল সঙ্কট নিরসনে নতুন তিন হাজার ১০৭ জনবল অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান হবে। কারানিরাপত্তার আধুনিকায়নে বিভিন্ন সরঞ্জমাদি ক্রয়ে সম্প্রতি ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রী কাশিমপুর কারাগারের প্যারেড মাঠে ৪৮ তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারারক্ষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারাভ্যন্তর থেকে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কোনোরূপ সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। শৃঙ্খলা ও মানবিকতাকে প্রধান্য দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করবেন। আধুনিক কারা ব্যবস্থাপনায় একটি চৌকস কারারক্ষীদল অপরিহার্য। আমি বিশ্বস করি, মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে একটি চৌকস বাহিনী হিসেবে আপনাদের উপর অর্পিত গুরু দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।

এর আগে মন্ত্রী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দী পুনর্বাসন প্রশিক্ষণের জন্য স্থাপিত আধুনিক আসবাবপত্র তৈরির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং বন্দীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় তার সঙ্গে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মো. মিজানুর রহমান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, ৪৮ তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে ১৭৫ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১৭১ জন কারারক্ষী ও ৪ জন নারী কারারক্ষী ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর ২৪ সপ্তাহ ব্যাপী ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্নকারীদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।



মন্তব্য চালু নেই