সচিবদের চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন না এমপিরা

এমপিদের বেতনভাতা সংক্রান্ত সংসদে উত্থাপিত বিলটি চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি। তবে সচিবদের চেয়ে বেশি বেতন দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত তা পাচ্ছেন না তারা। শুধুমাত্র অফিস খরচ ৬ হাজার টাকা বাড়িয়ে ‘মেম্বর অব পার্লামেন্ট (রেমুন্যারেশন অ্যান্ড অ্যালাউন্সেস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১৬’ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

জাতীয় সংসদ ভবনে সোমবার বিকেলে জাতীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত করা হয়। সংসদের আগামী অধিবেশনে বিলটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিলটি গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওই সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এরপর ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিলের বিষয়ে আপত্তি জানান কমিটির সদস্যরা। তারা বলেন, সচিবরা ৮২ হাজার টাকা বেতন পেলেও প্রস্তাবিত আইনে সংসদ সদস্যদের জন্য ৫৫ হাজার টাকা সম্মানি ভাতা রাখা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

কমিটি সূত্র জানায়, আগের বৈঠকে আলোচিত ওই বিলটি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলেও সোমবারের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা হয়। সেখানে সংসদ সদস্যদের অফিস খরচ ৯ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।

কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ উপস্থিত সদস্যরা এই প্রস্তাব মেনে নেন। এরপর বিলটি সংশোধনীসহ পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন উত্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

সংসদে উত্থাপিত বিলটি পাস হলে সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হবে। এই বিলে সংসদ সদস্যদের বেতন ২৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা, ব্যয় নিয়ামক ভাতা তিন হাজার টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকা, দৈনিক ভাতা ৩০০ টাকার স্থলে ৭৫০ টাকা, স্বেচ্ছাধীন তহবিল তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা, নির্বাচনী এলাকার খরচ (মাসিক) ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, পরিবহন খরচ ভাতা (মাসিক) ৪০ হাজারের পরিবর্তে ৭০ হাজার টাকা, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ (বার্ষিক) খরচ ভাতা ৭৫ হাজার টাকা হতে বাড়িয়ে এক লাখ ২০ হাজার টাকা, লন্ড্রি ভাতা (মাসিক) এক হাজার থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা এবং ক্রোকারিজসহ অন্যান্য ভাতা চার হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই