সচিবালয়ে বিড়াল উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ছিল আজ সবার মুখে মুখে!

মশা মারতে কামান দাগানোর মতো শেষ পর্যন্ত একটি বিড়াল উদ্ধারেও ফায়ার সার্ভিসের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। জনপ্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে গেছে এমন এক মুখরোচক ও আলোচিত লঙ্কাকাণ্ড। দু’টি কুকুরের ধাওয়া খেয়ে ভয়ে একটি বিড়াল সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সামনের কড়ই গাছে উঠে পড়ে। সেখানেও নিরাপত্তা নেই তার। কাকের দল বিড়ালটিকে মারাত্বকভাবে আহত করে। অর্থাৎ নিচে কুকুর আর উপরে কাক। এ অবস্থায় গাছের ডালে তিনদিন ধরে ঝুলে থাকার পর অবশেষে আজ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ থেকে উদ্ধার করেছে আহত বিড়ালটিকে।

এদিকে সচিবালয়ে হঠাৎ করে ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি ভেতরে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংবাদকর্মীদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি করে। এ দৃশ্য দেখার জন্য সেখানে শত শত মানুষ ভিড় জমান। সচিবালয়ে বিড়াল উদ্ধারের এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ছিল আজ সবার মুখে মুখে। এ নিয়ে মুখরোচক রসালো আলোচনাও চলে অনেকের মধ্যে। এ বিষয়ে সচিবালয়ের প্রত্যক্ষদর্শী কমচার্রীরা জানান, গত মঙ্গলবার সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাগানের সামনে একটি বিড়াল খেলা করছিল। এসময় হঠাৎ করে দু’টি কুকুর বিড়ালটিকে ধাওয়া করে। বিড়ালটি ভয় পেয়ে আত্মরক্ষার জন্য সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনে লাফালাফি করে এক পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সামনের বাগানের কড়ই গাছের ডালে উঠে পড়ে। সেখানেও রক্ষা পায়নি বিড়ালটি। কাক এসে বিড়ালটির মাথায় টোকর লাগায়।

এক পর্যায়ে বিড়ালের পিটের অংশ কাকের দল খেয়ে ফেলে। বিড়ালটির এই করুণ অবস্থা দেখে মায়া হয় সচিবালয়ের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তারা টাকার বিনিময়ে বিড়ালটিকে গাছ থেকে নামানোর অফার দেয় অনেককে। কিন্তু কেউ গাছে উঠে বিড়ালটি উদ্ধার করতে সম্মত হয়নি। পরে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর ড্রাইভার আজগার আলী ফায়ার সার্ভিস সচিবালয় শাখা প্রধান কার্যালয়ে ফোন করেন। ফোন পেয়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্যের কর্মী বাহিনী প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর বিড়ালটি উদ্ধার করে।



মন্তব্য চালু নেই