সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন: সিঙ্গাপুরে ৬ বাংলাদেশি বিচারের মুখোমুখি

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে সিঙ্গাপুরে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন ৬ বাংলাদেশি। সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন আইনে প্রথমবারের মতো দেশটিতে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।

অভিযুক্তরা হলেন— মিজানুর রহমান, লিয়াকত আলী মামুন, রুবেল মিয়া, দৌলাত জামান, জাবেদ কায়সার হাজি নুরুল ইসলাম সওদাগর ও সোহেল হাওলাদর ইসমাইল।

গত এপ্রিল মাসে দেশটির আন্তঃনিরাপত্তা আইনে (আইএসএ) এই ৬ বাংলাদেশিকে আটক করে পুলিশ।

চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য অর্থ যোগান অথবা অর্থ সংগ্রহে শুক্রবার (২৭ মে) তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

এরদের মধ্যে রুবেল মিয়া ও জাবেদ কায়সার হাজি নুরুল ইসলাম সওদাগর সন্ত্রাসী কাজের জন্য সম্পত্তি রাখার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।

অভিযুক্তদের ৫ জনই তাদের দোষ স্বীকার করে আবেদন করবেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার (৩১ মে) মামলার শুনানিতে তারা এ আবেদন করবেন। এদের মধ্যে লিয়াকত মামুন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার মামলার বিষয়ে আগামী ৯ জুন বিচার-পূর্ববর্তী কনফারেন্সে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গত মে মাসে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে ৮ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল এ ৬ জন তাদের মধ্যে রয়েছেন। ৩১ বছর বয়েসী মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গত মার্চ মাসে এ গ্রুপটি তৈরি করা হয়। এ গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ’।

এ গ্রুপের অন্য সদস্যদের বয়স ২৬ থেকে ৩৪ বছর এবং তাদের প্রত্যেকেরই সিঙ্গাপুরে কাজ করার অনুমতি রয়েছে। এরা দেশটির বিভিন্ন নির্মাণ ও মেরিন কোম্পানিতে কাজ করেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা এবং বিভিন্ন অস্ত্র ও বোমা তৈরির নানা তথ্যাদি তাদের কাছে পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আইএসআইএস ও আল-কায়েদা ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিও তাদের কাছে পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে আক্রমণে অস্ত্র কেনার জন্য সংগৃহিত তহবিলও তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।

দলের পরিধি বাড়ানোর জন্য সিঙ্গাপুরে কর্মরত অন্য বাংলাদেশিদের যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই