সবচেয়ে ‘সুখে’র পেশায় তিনি, কিন্তু কি সেই পেশা?

সারা পৃথিবী জুড়ে অনেক ধরনের পেশাই রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চমকে দেওয়ার মতো পেশাও। কিন্তু ব্রিটিশ যুবতী কারলিন হাওডেন যে পেশায় যুক্ত, তা একই সঙ্গে অভিনব ও তাঁর কথায় ‘চিত্তাকর্ষক’ও বটে।

ব্রিটেনে পেশা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সমীক্ষায় সন্ধান মিলেছে মোটা মাসিক বেতন রোজগারকারী সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, বিপণন ব্যবস্থাপক মায় দুঁদে আইনজীবীর। তাঁদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাত্রা ও কাজের বৈচিত্র এবং গুরুত্ব সমীহ আদায় করে। কিন্তু এঁদের সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন কারলিন হাওডেন। কাজের জগতে প্রতিদিন আনন্দ লাভ করার বিরল অভিজ্ঞতা তাঁর মতো আর কোনও পেশাদারের রয়েছে কি না তা বিতর্ক সাপেক্ষ।

কী কাজ করেন কারলিন? কেন্ট কাউন্টির বেক্সলির বাসিন্দা বছর তিরিশের এই যুবতী একজন পেশাদার সেক্স টয় টেস্টার। কৃত্রিম উপায়ে মানুষের যৌনসুখ লাভ করার বিবিধ খেলনা হাতে-কলমে পরীক্ষা করা তাঁর রোজের ডিউটি। ব্রিটিশ প্রেস অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারলিন জানিয়েছেন, ‘কর্মস্থলে প্রতি মুহূর্তে কিছু না কিছু কামোত্তেজনার খোরাক তৈরি হচ্ছে।’

কারলিনের সংস্থা ‘অ্যান সামার্স’ সেক্স টয়ের বাজারে জনপ্রিয় নাম। তিনি জানিয়েছেন, ‘বন্ধুরা আমার মুখে যৌনতা সম্পর্কে খোলামেলা কথা শোনার পর নিজেদের চিরাচরিত অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলে স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ব্যক্তিগত সমস্যা ও অভিজ্ঞতা অকপটে তুলে ধরে।’

তিনি জানান, ‘আমি এমন এক পরিবেশে মানুষ হয়েছি যেখানে যৌনতা নিয়ে অবহেতুক রাখ-ঢাক ছিল না। বাবা-মা আমাদের পাঁচ বোনের উপর কখনও এই বিষয়ে নিযেধাজ্ঞা জারি করেননি। আমি বোনদের এবং মাকেও আমার সংস্থার খেলনা উপহার দিয়েছি। মায়ের কোমরের পেশির জোর বাড়াতে উপহার দিয়েছি কেজেল বল্‌স। নিজেদের মধ্যে অকপটতা থাকার জন্যেই যৌনতা নিয়ে অকারণ পর্দাসীন হওয়া বা তা নিয়ে বাড়াবাড়ি, কোনওটাই আমরা করি না।’



মন্তব্য চালু নেই