সবচেয়ে বেশি যে আসক্তি, তার নাম ‘অনলাইন’

‘আসক্তি’ তা সে যে বিষয়েই হোক না কেন ক্ষতির কারণ হয়েই দাঁড়ায়। সম্প্রতি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে আসক্তি দেখা যাচ্ছে সেটার নাম অনলাইন আসক্তি।

ইন্টারনেট এখন আমাদের জীবনযাপনেরই এখন একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই সঙ্গে অনেক বেশি সহজলভ্যও হয়ে পড়েছে সবার জন্য। কিন্তু অনেকেই আছেন ইন্টারনেট না থাকলেই যেন অথৈ পাথারে হাবুডুবু খান। আবার দেখা যায় বন্ধুদের আড্ডার মধ্যে বসেও ইন্টারনেট চালান অনেকেই। এসবকেই বলা হচ্ছে অনলাইন আসক্তি।

মনোবিদরা বলছেন বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এই আসক্তিটা কাজ করে দলছুট হয়ে পড়ার ভয় থেকে। কোনো আপডেট মিস করে ফেললো কিনা, সেই ভয় থেকেই মূলত আসে অনলাইনের উপর নির্ভরতা। আর সেটাই একসময় হয়ে পড়ে আসক্তি।

কিন্তু এই আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় কি? একটু সচেতন হলেই সেটা সম্ভব। সেজন্য শুধু নিজেকে একটু বাড়তি সময় দিতে হবে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিচ্ছেন কিছু বিষয় চর্চার উপর।

খুব কাজ না থাকলে বাড়ি ফিরে অন্য শখের চর্চা করুন। সেটা হতে পারে কোনো বই পড়া বা শখের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শেখা। তাই বলে একটা আসক্তি থেকে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে অন্য আসক্তিতে জড়িয়ে পড়বেন না। যেমন অনেকে ইন্টারনেট থেকে বাঁচতে মোবাইলে গেম খেলে। একসময় সেটাও আসক্তিতে পরিণত হয়। ফলে অবস্থার পরিবর্তন খুব একটা হয়না।

ফোনের ইন্সট্যান্ট নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। সাথে সাথে নোটিফিকেশন না আসলে দেখবেন ওদিকে খুব একটা আর নজর যাচ্ছে না।

অফিস থেকে বেরিয়ে গেলে আর অফিসের ইমেল চেক করবেন না।

দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামে লগ ইন করবেন না। বরং কোনও একটা বিষয় নিয়ে গভীরভাবে ভাবা শুরু করুন। দেখবেন অন্যরকম আনন্দ পাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে মানুষ গড়ে ৫ ঘণ্টা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকে আর ২ ঘণ্টা মোবাইলের দিকে। সেই জায়গা থেকেই মানুষকে এমন আসক্তি থেকে সরিয়ে আনার কাজটি কম ঝামেলার কাজ নয়। তবে নিজেকে সুস্থ রাখতে সেদিকে তো নজর দিতেই হবে।



মন্তব্য চালু নেই