সব চর্বিই ক্ষতিকর নয়

চর্বিযুক্ত খাবার দেখলেই যারা নাক কপালে তোলেন, তাদের জানা প্রয়োজন যে সব চর্বিযুক্ত খাবারই কিন্তু ক্ষতিকর নয়। ভেজিটেবল অয়েল, দেশি ঘি এগুলো চর্বির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। মানবদেহের বৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য শর্করা, ভিটামিন, মিনারেল এবং আমিষের মতোই গুরুত্বপূর্ণ চর্বি।

চর্বি তখনই শরীরের জন্য ক্ষতিকর যখন এর পরিমাণ এবং গুণগতমান ঠিক থাকে না। তবে মানবদেহের জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার চর্বি অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে শরীরে পরিশোষণের জন্য চর্বি প্রয়োজন।

শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে চর্বি। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতিকর পরিবর্তন রোধ করে সেগুলোর অবয়ব রক্ষা করে। শক্তি এবং উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে চর্বি।

গড়ে একজন পূর্ণবয়ষ্ক মানুষের দৈনিক ৭০ গ্রাম চর্বি প্রয়োজন।

যেহেতু চর্বি সহজে পরিপাক হয় না, সেজন্য বয়ষ্ক ও যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের জন্য কম পরিমাণে গ্রহণ করাই ভালো। এছাড়াও দৈনিক একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২০ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ৫ গ্রাম ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ করতে পারবে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট হচ্ছে মাখন, পনির, ঘি, ক্রিম, শুকরের চর্বি, নারকেল তেল এবং চর্বিযুক্ত মাংস। আর ট্রান্স ফ্যাট মূলত ফ্রেঞ্জ ফ্রাইস, কুকিস, কেক ইত্যাদি বেকারি ফুডের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য মেশানো হয়।

ট্রান্স ফ্যাটের চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জন্য বেশি উপকারি। এছাড়া দৈনিক এক চা চামচ পরিমাণ ঘি সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

এছাড়া রান্নায় যোগ করুন ভেজিটেবল অয়েল। কারণ ভেজিটেবল অয়েলে রয়েছে অ্যানস্যাচুয়েটেড ফ্যাট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে এবং এইচএলডি উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক।

তেল ভালো করে গরম করে রান্না করুন, তবে একই তেল একাধিকবার গরম করবেন না। রান্নার পর তেল রয়ে গেলে, সেটা পুনরায় ব্যবহার স্বাস্থ্যকর নয়। তেল পুনরায় গরম করতে এটি ট্রান্স ফ্যাট উৎপাদন করে এবং মেটাবলিসম বাড়িয়ে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই