সমীক্ষা বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীর ঘাড়ব্যথা ১.৩৮ গুণ বেশি

পুরুষ ও নারী উভয়েরই ঘাড়ব্যথা হতে পারে। তবে ঘাড়ব্যথার বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা গেছে কিছু কারণে পুরুষের তুলনায় নারীর ঘাড়ব্যথার হাড় বেশি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

শিকাগোর লয়োলা ইউনিভার্সিটি ও জোসেফ হল্টম্যানের এক গবেষণায় জানা গেছে ঘাড়ব্যথার এ তথ্য। এ গবেষণায় উঠে এসেছে নারীদের ঘাড়ব্যথার হার পুরুষের তুলনায় ১.৩৮ গুণ বেশি।

গবেষণায় পুরুষ ও নারীর যন্ত্রণার পার্থক্যের বিষয়গুলো নিয়েও অনুসন্ধান চালানো হয়। এর আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, নারীরা যন্ত্রণার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ বেশি নেন। এছাড়া বিভিন্ন যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিও নারীদের বেশি থাকে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। নিয়মিত বিভিন্ন শারীরিক যন্ত্রণা ছাড়াও মাইগ্রেনের সমস্যা ও ঘাড়ব্যথাও নারীদের বেশি হয়।

কী কারণে নারীদের যন্ত্রণা বেশি, এ বিষয়ে গবেষকরা অনুসন্ধান করছেন। এতে হরমোনজনিত পার্থক্য ও মানসিকভাবে যন্ত্রণাকে কিভাবে গ্রহণ করা হয় এসব বিষয়ও বিবেচনা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় ৩,৩৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের মধ্যে ৬১ শতাংশ নারী। অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত তথ্য ও তাদের নানা ধরনের ব্যথার বিষয়টি লিপিবদ্ধ করেন গবেষকরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ঘাড়ের ব্যথার জন্য সার্ভাইকাল ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ সবচেয়ে প্রচলিত কারণ। এ রোগের লক্ষণ হলো ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ব্যথা ও অস্বস্তি। এ ধরনের ব্যথা হলে ঘাড় ওঠানো বা মাথা নাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।

গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেইন মেডিসিন ইন ক্যালিফোর্নিয়াতে।



মন্তব্য চালু নেই