সম্পর্ককে দীর্ঘ করুন ছোট্ট কিছু কৌশলে

প্রচন্ড ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় দাম্পত্য জীবন হয়ে যায় একেবারেই পানসে আর অশান্তির। খুব খুব বেশি ভালোবাসা নিয়েও হয়তো একটা সময় আপনার মনে হতে পারে- নাহ! আর হয়তো এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছেনা সম্পর্কটাকে। জীবনের পথে চলা যাচ্ছেনা একসাথে। কিন্তু কেন? আপনার পাশেই থাকা পুরোন কিছু সম্পর্ককে দেখুন। যুগ যুগ ধরে টিকে রয়েছে সেগুলো। তাহলে কীসের কমতি রয়ে গেল আপনার ভালোবাসার সম্পর্কে?

আপাতদৃষ্টিতে আপনার চোখে না পড়লেও বাস্তবে আরো অনেকের মতনই সম্পর্কের কিছু খুঁটিনাটি বিষয়কে হয়তো আপনিও এড়িয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপারগুলো ঠিক চোখে পড়ার মতন না হলেও এই একেককটি ছোট্ট ছোট্ট ঘটনায় আপনার সম্পর্ককে করে তুলতে পারে সজীব আর প্রাণবন্ত।কি সেগুলো? চলুন দেখে আসি সেই ছোট্ট কিছু গোপন কৌশলকে যেগুলোর মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে সুন্দর আর সতেজ রাখতে পারবেন আপনি আপনার সম্পর্ককে।

১. শ্রদ্ধা দেখান

ভালোবাসার সম্পর্কে কেবল ভালোবাসা দেখানোটাই সবচাইতে বড় ব্যাপার নয়। ভালোবাসার পাশাপাশি আরেকটি বিষয়, যেটি খুব বড় স্থান জুড়ে থাকে একটি সম্পর্কে, সেটি হল শ্রদ্ধা। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। শুধু ভালোবাসার সম্পর্ক কেন, যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এটা সত্যি। তবে অন্য সব সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি নিজ থেকে চলে আসলেও অনেকে ভালোবাসার মানুষটির ক্ষেত্রে এই শ্রদ্ধাবোধ দেখানোর কথা ভুলে যান। যেটি কিনা বেশ দূর্বল করে তোলে একটি সম্পর্ককে। তাই একে অন্যের সব সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করুন।

২. একসাথে হাসুন

প্রতিদিন একটু সময়ের জন্যে হলেও একসাথে হাসুন। নিজেদের সাথে কথা বলুন। কেবল নিজেকে ভালো রাখার জন্যে নয়, সঙ্গীকে ভালো রেখে, তার মনকে খুশী রেখে তাকে হাসানোর চেষ্টা করুন।

৩. একে অন্যকে সমর্থন করুন

পৃথিবীর আর সবার চাইতে আপনি আপনার সঙ্গীর কাছে আলাদা কেউ কেন? কারণ এই যে, সে বিশ্বাস করে যে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে পৃথিবী অন্যদিকে চলে গেলেও আপনি তাকে ছেড়ে যাবেননা। তার পাশে থাকবেন। তাকে সমর্থন করবেন। আর এই বিশ্বাসটুকুই আপনাকে আপনার সঙ্গীর চোখে আলাদা করে তোলে। করে তোলে অনন্য। তাই সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সঙ্গীর পাশে থাকুন সবসময়।

৪. বিশ্বাস করুন

সম্পর্কের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাস হচ্ছে সেই নিরাপত্তা বলয় যেটা কিনা দুজন মানুষকে পৃথিবীর আর সব সমস্যা ও বিপদ থেকে নিরাপদ রাখে। আর এই বিশ্বাস যদি কখনো একটু হলেও হালকা হয়ে যায় তাহলে যতটাই আপনি ভালোবাসুন না কেন আপনি আপনার সঙ্গীকে, সম্পর্কের শেষ দাগটা নির্ধারন করা হয়ে যায় তখনই। তাই একে অন্যকে বিশ্বাস করুন আর কিছুটা সময় সঙ্গীকে নিজের মতন করে কাটাতে দিন।

৫. অতীতকে অতীতে থাকতে দিন

অতীত একজন মানুষের ভবিষ্যতে চলার পথে সহায়ক হিসেবে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করলেও সেটা অনেক সময় বেদনাদায়ক। আর আপনি চেষ্টা করলেও যেহেতু অতীতকে পাল্টাতে পারবেননা তাই অতীতকে ভুলে যান। সঙ্গীকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করুন। এ জন্যে কিছু ত্যাগ করতে হলেও সেটাও করুন। তবে অযথাই নিজের রাগকে মনে পুষে রেখে বর্তমানকে নষ্ট করবেন না। এতে করে আপনার অতীতকে নিজের হাতেই বেদানাদায়ক করে তুলবেন আপনি।

৬. বদলানোর চেষ্টা না করা

আপনি আপনার সঙ্গীকে কেমনটা ভালোবেসেছিলেন? সে এখন যেমন আছে তেমনভাবেই তো? তাহলে হঠাত্ করে কেন আপনার মনে হচ্ছে যে সে বদলে গেলে ভালো হত? হতে পারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গী বা আশা-আকাঙ্ক্ষার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আপনার সঙ্গীর সেটা নাও হতে পারে। তার সাথে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করুন। সে যেমন আছে তেমনই তাকে প্রশংসা করুন। সে যদি পাল্টাতে না চায় তাহলে জোর করতে যাবেন না। সেটা হতে পারে পোশাক কিংবা আচরন। কারণ, এটির ফলাফল কখনোই শুভ হবে না আপনার সুন্দর সম্পর্কটির পক্ষে।



মন্তব্য চালু নেই